প্রতীকী ছবি।
পুরভোটে বামেদের নয়, সোনামুখী শহরে তৃণমূল-বিজেপিকে হারাতে পারে, এমন নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন করবে কংগ্রেস।
সোনামুখী পুরসভার ১৫টি আসনের একটিতেও প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। বামেরা দিয়েছে ১০টি আসনে। এর মধ্যে সিপিএম প্রার্থী রয়েছেন ৯টিতে, আরএসপি একটি আসনে। পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাম-সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা। বিজেপি এবং তৃণমূলের প্রার্থী রয়েছে সব আসনেই।
কেন প্রার্থী দিল না কংগ্রেস? বাঁকুড়া জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের প্রতিপক্ষ তৃণমূল-বিজেপি। নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন জানিয়েছি। তৃণমূল-বিজেপির অস্বস্তি বাড়বে।”
পুরভোটে বাম-কংগ্রেসের রাজ্যব্যাপী সার্বিক আসন সমঝোতা না হলেও, বিক্ষিপ্ত ভাবে দু’পক্ষ অনেক আসনে পরস্পকে সমর্থন করছে। তবে বাঁকুড়ার তিন পুরসভায় সরাসরি বা কৌশলগত সমঝোতা হয়নি দু’পক্ষের। বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর পুরসভার বেশির ভাগ ওয়ার্ডেই মুখোমুখি লড়াই করছেন বাম ও কংগ্রেস প্রার্থীরা। সোনামুখীতে বাম প্রার্থীদের বদলে নির্দলদের সমর্থন কেন? দেবুর দাবি, ‘‘সিপিএম জোট করার আগ্রহ সে ভাবে দেখায়নি। তাই আমরাও সিপিএমের সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।’’
সিপিএম অবশ্য দাবি করেছে, কংগ্রেস প্রার্থী না দিলেও, তারা বাম প্রার্থীদের সমর্থন করবে। দলের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনোজ চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে আমাদের। কংগ্রেস নেতৃত্ব বলেছেন, তাঁরা আমাদের প্রার্থীদের সমর্থন করবেন।’’ যদিও দেবু বলছেন, ‘‘কার সঙ্গে বামেদের এই আলোচনা হয়েছে, আমি জানি না।’’
এ বার পুরভোটে কংগ্রেস বা বামেদের অবস্থান নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “সোনামুখীতে তৃণমূলের কোনও সমস্যা নেই। ওখানে ১৫টি ওয়ার্ডেই জয়ী হব।’’ কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওদের কর্মীই নেই, প্রার্থী দেবে কী করে? মঞ্চে বসে বড় বড় কথা বলেন ওদের নেতারা। আর গোপনে তৃণমূল-বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আঁতাঁত করেন।’’