দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের সঙ্গে যোগ থাকার দাবি জানিয়ে উড়ো ফোন। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
দিল্লির লালকেল্লার সামনে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় কারা জড়িত, তার খোঁজ চলছে। শুধু উত্তর ভারত নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তদন্ত চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এ বার সেই বিস্ফোরণের ঘটনায় যুক্ত থাকার দাবি করে ফোন পাচ্ছেন বাঁকুড়া পুরসভার বেশ কয়েক জন কাউন্সিলর! অভিযোগ, ফোনের ও প্রান্ত থেকে নিজেদের দিল্লি বা বিধাননগর অপরাধ দমন শাখার আধিকারিক বলে পরিচয় দেওয়া হচ্ছে। জানানো হচ্ছে, ‘‘দিল্লি বিস্ফোরণে যে সিম ব্যবহার হয়েছে, তা রয়েছে আপনার নামে।’’ ফোন পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কাউন্সিলরেরা। শুধু কাউন্সিলর নন, স্থানীয় উপপ্রধানও এমন ফোন পেয়েছেন বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বাঁকুড়া পুরসভার উপপ্রধান হীরালাল চট্টরাজ-সহ পাঁচ জন উড়োফোন পেয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ঝিলিক দত্ত, আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মমতা বাগদি, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইতু দাস এবং সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিলীপ আগরওয়াল। সকলেরই একই দাবি, অজানা নম্বর থেকে ফোন এসেছে তাঁদের কাছে। কারও কাছে পরিচয় দিয়েছেন দিল্লির অপরাধ দমন শাখার অফিসার বলে, আবার কাউকে বলা হয়েছে, বিধাননগরে অবস্থিত একটি তদন্তকারী অফিসের আধিকারিক!
কাউন্সিলরদের দাবি, অজানা নম্বর থেকে ফোন পেয়ে প্রথমে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন। তবে কিছু ক্ষণ পরেই বুঝতে পারেন এটা প্রতারকদের কাজ! কোনও প্রতারণার জাল বিছোতেই এই ফোন। সঙ্গে সঙ্গে ফোন কেটে দেন। পরে সকলেই আলাদা আলাদা ভাবে সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
হীরালালের কথায়, ‘‘বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ১৮ মিনিটে আমার মোবাইলে অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোন ধরতেই অপর প্রান্তের ব্যক্তি নিজেকে বিধাননগরে থাকা তদন্তকারী সংস্থার দফতরের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে বলেন দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে যুক্ত একটি সিম কার্ড আমার নামে নথিভুক্ত রয়েছে। আমি ওই ব্যক্তির পরিচয় যাচাই করতে তাঁর পরিচয়পত্র পাঠাতে বলি। তখন তিনি আমার বাড়িতে লোক পাঠিয়ে গ্রেফতার হুমকি দিয়ে ফোন কেটে দেন।’’ একই অভিযোগ কাউন্সিলর দিলীপেরও। তিনি এ-ও বলেন, ‘‘এখন নানা ভাবে প্রতারকেরা প্রতারণা করছে। সে বিষয়ে অবগত ছিলাম। যখনই বুঝতে পারি গোটা বিষয়টি ভুয়ো, তখনই কেটে দিই ফোন। তার পরে নাকি বিভিন্ন সময়ে একই নম্বর থেকে ফোন করা হয় তাঁকে। কিন্তু আর সেই ফোন ধরেননি বলেই জানান দিলীপ। অভিযোগ পাওয়ার পরে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।