সদাইপুর-কাণ্ডের পরে পুলিশের ভূমিকায় সরব হল বিরোধীরা। একই সঙ্গে বিরোধী দলের নেতারা ওই এলাকার ঘরছাড়াদের দ্রুত ঘরে ফেরানোর দাবিও তুলেছেন।
সোমবার সিউড়ি বিধানসভা এলাকার সদাইপুরের মাজিগ্রামে সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা ছড়ায়। বামেদের দাবি ছিল, এক নাবালকের ভোট দেওয়া আটকে শাসকদলের রোষের মুখে পড়েছিল গ্রামের সিপিএম সমর্থক পরিবারগুলি। কেন তৃণমূলকে ছেড়ে ওই পরিবারগুলি সিপিএমকে ভোট দিয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলে হুমকির অভিযোগও ছিল।
সিপিএমের অভিযোগ, সোমবার রাত আটটা নাগাদ কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ঘর ভাঙচুর, বোমাবাজির পরে সুনীল মাজি নামে এক সিপিএম সমর্থকের বাড়ি থেকে ওই দুষ্কৃতীরা চারটি গরু খুলে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ। অথচ সোমবার ‘আক্রান্তদের’ই গ্রেফতার করে সমালোচনার মুখে পড়ে সদাইপুর থানা। যে সুনীল মাজির পরিবার থেকে চারটি গরু ‘লুঠ’ হয়েছিল সেই সুনীলকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।
তৃণমূলের তরফে পাল্টা অভিযোগ ছিল, এক সিপিএম সমর্থক এ বার তৃণমূলে ভোট দেওয়ায় তাঁর উপরে অত্যাচার করছিল সিপিএমের লোকজন। প্রতিবাদ করলে এক তৃণমূল কর্মীকে হেনস্থা করা হয়। মেরে তাঁর স্ত্রী-র মাথা ফাটিয়ে দেয় সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা। ব্লকস্তরের এক নেতার দাবি, ‘‘সেই কাণ্ডে থেকে মুখ ঘোরাতেই ঘরের জিনিসপত্র ছাড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে সংবাদমাধ্যম ডেকে নাটক করছিল।’’
হারিয়ে যাওয়া চারটি গরু অবশ্য মঙ্গলবার রাতেই উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা স্বপন মণ্ডল ও নরুল হোদাদের দাবি, ‘‘সিপিএমই জঙ্গলে গরুগুলি লুকিয়ে রেখেছিল। পুলিশ সেগুলি খুঁজে পেয়েছে।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য
অরুণ মিত্র তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘‘আমাদের সমর্থক পরিবারগুলির পুরুষেরা এখনও ঘরছাড়া। হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।’’ তিনি
দ্রুত ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর দাবি তুলেছেন।
শান্তিনিতেকনে আলোচনা সভা। সমাজবিজ্ঞানে গবেষণার পদ্ধতি ও পাঠ্যক্রম শীর্ষক দশ দিনের একটি আলোচনা সভা হল শান্তিনিকেতনে। উদ্যোক্তা বিশ্বভারতীর বিনয় ভবন। তিনশোর কিছু বেশি গবেষক-গবেষিকা দশ দিনের এই আলোচনায় যোগ দেন। আয়োজকদের পক্ষে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক এম এস সিদ্দিকি জানান, বিশ্বভারতী ছাড়াও উত্তরবঙ্গ, খড়গপুর আইআইটি, বর্ধমান-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞেরা কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলেন। শেষ দিনের আলোচনায় অধ্যাপিকা মৌসুমী ভট্টাচার্য, অধ্যাপক সমীরণ মণ্ডল প্রমুখেরা যোগ দেন।