বিস্ফোরণ: বিধ্বস্ত। নিজস্ব চিত্র
লোকপুরের পর এ বার মাড়গ্রাম। মঙ্গলবার দুপুরে আচমকা বাড়ির মধ্যে বিস্ফোরণে বাড়ির টিনের চালা-সহ ইঁটের গাঁথনির দেওয়াল ধসে পড়ল। মাড়গ্রাম থানার রাখাপাড়ার ঘটনা। ঘটনায় বাড়ির মালিক, পেশায় রিকশাচালক রফিক সেখ অল্প বিস্তর জখম হয়েছেন। পুলিশ রফিককে আটক করেছে। ঘটনার পর থেকেই রফিক শেখের দুই ছেলে রহিদুল এবং রিয়াজুল পলাতক। জেলা পুলিশসুপার নীলকান্ত সুধীর কুমার বলেন, ‘‘মাড়গ্রামে একটা বিস্ফোরণে বাড়ির টিনের চাল উড়ে গিয়েছে এবং বাড়ির একটি ঘর ভেঙে পড়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পৌঁছয়। পুলিশকে প্রথমে বাড়ির লোকজন গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেছে বলে জানায়। কিন্তু পুলিশ তদন্তে সেরকম কিছু পাওয়া যায়নি।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ বিস্ফোরণটি ঘটে। প্রচন্ড আওয়াজে এলাকাবাসী চমকে যায়। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেটা গ্রামের শেষ প্রান্তে। বাড়ির মালিক রফিক শেখের বৌমা টুম্পা বিবি বলেন, ‘‘দুপুরে রান্না করার সময় বাড়ির বাইরে গিয়েছিলাম। সেই সময় আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে।’’ কি কারণে ঘটেছে সে ব্যাপারে কিছু জানা নেই বলে টুম্পা জানান। এদিকে বিস্ফোরণের পরে বাড়ির টিনের চালা পঞ্চাশ মিটারের বেশি দূরত্বে গিয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইদের আগের দিন রাখাপাড়ার একটি কিশোরকে লাগোয়া দর্জি পাড়ার কয়েকজন যুবক মদ্যপ অবস্থায় মারধর করে। এই নিয়ে দুই পাড়ার মধ্যে একটু রেষারেষি চলছিল। সেই কারণে রাখাপাড়ার রফিক শেখের বাড়িতে কে বা কারা বোমা মজুত রাখতে পারে। সেই মজুত করে রাখা বোমা আচমকা বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। পুলিশের কাছেও দুই পাড়ার মধ্যে গন্ডগোলের খবর আছে। আগের ঘটনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বাড়ির মধ্যে মজুত করে রাখা বিস্ফোরক ফেটে ঘটনা ঘটে। ঘটনায় বাড়ির মালিককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে। বাড়ির মালিকের দুই ছেলে ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাদের সন্ধানে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।’’ কারা বিস্ফোরক মজুত করে রেখেছিল সেটা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বলে এসপি জানান।