Fire

ইলামবাজারে বিজেপি সমর্থকের ঘরে আগুনের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, অভিযোগ অস্বীকার ঘাসফুলের

সাহিলার মতোই স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সরব মমতাজ খাতুনও। তৃণমূলের লোকজনের ভয়েই তাঁর স্বামী-পরিজন ঘরছাড়া, এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইলামবাজার শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৫:২৪
Share:

স্থানীয় তৃণমূলের নেতারা এই ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের। —নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূল-বিজেপি রেষারেষির জেরে ফের উত্তপ্ত ইলামবাজার। এ বার বিজেপি কর্মী আয়েরা বিবির ঘরে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বুধবার রাতে বীরভূম জেলার ইলামবাজারের ওই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বুধবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আয়েরা বিবির চালাঘরে আগুন লাগানো হয়। স্থানীয় তৃণমূলের নেতারা এই ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ তাঁদের। ঘটনার পর বৃহস্পতিবার বিজেপি সমর্থক স্থানীয় বাসিন্দা সাহিলা বিবি সরাসরি তৃণমূলের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা রাতে শুয়েছিলাম। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বাড়িতে আগুন লাগে। বিজেপি করি বলেই বোধহয় ওরা আগুন লাগিয়েছে।’’

সাহিলার মতোই স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সরব মমতাজ খাতুনও। তৃণমূলের লোকজনের ভয়েই তাঁর স্বামী-পরিজন ঘরছাড়া, এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। মমতাজের কথায়, ‘‘তৃণমূলের কয়েকজনই আগুন লাগিয়েছে। গত কয়েক দিন ধরেই আমার স্বামী সারারাত মাঠেই কাটাছে। সেখানেও লেপ-কাঁথা, যা ছিল পুড়িয়ে দিয়েছে। ওদের কোনও হদিশ পাচ্ছি না। মেয়েদের নোংরা ভাষায় কথা বলছে। বাড়িতে থাকতেও ভয় লাগছে।’’

Advertisement

যদিও মমতাজদের এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ মহম্মদ মোল্লা। তিনি বলেন, ‘‘আগুন লাগানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাত ১২টার পরে ওরা নিজেরাই আগুন লাগিয়েছে। হয়তো ঠান্ডা লেগেছিল। গ্রামে আগুন লাগলে তা নিয়ে মাইকে জানানো হয়, এই এলাকায় এমনটাই রেওয়াজ। পাড়ার লোক সেখানে হাজির হন। পাড়ার লোক জানতে পারছে না যে আগুন লেগেছে। অথচ বাইরে থেকে সংবাদমাধ্যম চলে এল। এটা আদৌ সত্যি নয়।’’

সম্প্রতি খাদিম পুকুর গ্রামে বিজেপি-র ‘পরিবর্তন যাত্রা’ কর্মসূচি ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি, দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছিল। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে একে-অপরের বিরুদ্ধে মারধর এবং ভাঙচুরের অভিযোগ করে। তবে সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই এই গ্রামে ফের উত্তেজনা ছড়াল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন