Elephant

আবার বিষ্ণুপুরে ‘উপস্থিত’ দলমার হাতি! আমন চাষের ভরা মরসুমে ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকেরা

প্রতি বছরই খাবারের খোঁজে হাতির দল দলমা পাহাড় থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর হয়ে বাঁকুড়ায় চলে আসে। কখনও সংখ্যায় তারা ৮০ হয়, কখনও ১০০।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫ ১৫:৪১
Share:

বাঁকুড়ায় হাতি ঢোকার খবরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামে। —নিজস্ব চিত্র।

মাস দেড়েক আগে হাতির দল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর বনবিভাগ ছেড়ে পশ্চিম মেদিনীপুর হয়ে দলমার পথ ধরেছিল। কিন্তু আবার তারা ফিরতে শুরু করল বিষ্ণুপুরের জঙ্গলে। শনিবার রাতে জোড়া হাতি বাঁকুড়ার সীমানায় থাকা কলাবাগান এলাকা দিয়ে ঢুকে বিষ্ণুপুর বন বিভাগের আধকাটা জঙ্গলে চলে যায়। আমন চাষের ভরা মরসুমে লোকালয়ে হাতি ফেরায় ক্ষতির আশঙ্কায় স্থানীয়েরা। হাতির গতিবিধির উপর কড়া নজরদারি শুরু করেছে বন দফতর।

Advertisement

প্রতি বছরই খাবারের খোঁজে হাতির দল দলমা পাহাড় থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর হয়ে বাঁকুড়ায় চলে আসে। কখনও সংখ্যায় তারা ৮০ হয়, কখনও ১০০। বস্তুত, গত কয়েক মাস ধরে বাঁকুড়ার বিভিন্ন জঙ্গল ঘুরে একটি হাতির দল পশ্চিম মেদিনীপুর হয়ে ফিরে যায় ঝাড়খণ্ডের দলমা পাহাড়ে। কিন্তু আমনের ভরা মরসুমে আবার তারা চলে আসছে বাঁকুড়ায়। দুটো হাতির প্রবেশের পর স্থানীয়দের আশঙ্কা এ বার হয়তো দলবল আসবে।

শনিবার রানিগঞ্জ-খড়্গপুরে জাতীয় সড়ক অতিক্রম করে জোড়া হাতি আশ্রয় নিয়েছে বাঁকাদহ রেঞ্জের আধকাটা জঙ্গলে। ওই খবর পেতেই সক্রিয় হয় বন দফতর। স্থানীয় বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে তড়িঘড়ি হাতিগুলির গতিবিধির উপর নজরদারি শুরু করেন বনকর্মী থেকে আধিকারিকেরা।

Advertisement

বাঁকাদহ রেঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেঞ্জ আধিকারিক তপোব্রত রায় বলেন, ‘‘বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যেরা ছাড়াও বন দফতরের কর্মীরা হাতিগুলির গতিবিধির উপর কড়া নজর রেখেছেন। হাতিগুলি আধকাটা জঙ্গলে আসার পথে চাষাবাদের সামান্য ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আমরা সেই ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখে সরকারি নিয়ম অনুসারে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। আমনের ভরা মরসুম হওয়ায় জঙ্গল লাগোয়া লোকালয়গুলির মানুষকে সতর্ক করতে মাইক প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement