গাছে বধূর দেহ, বোরোয় ধৃত স্বামী

নাগাড়ে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পেয়ে কৌতূহলে এগিয়ে এসেছিলেন জঙ্গলে পাতা কুড়োতে আসা মহিলারা। এসে দেখলেন, গাছের ডালে এক বধূর দেহ ঝুলছে। আর গাছের তলায় মাস ছয়েকের শিশুকন্যা কেঁদে চলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোরো ও ইন্দাস শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৪ ০০:৫৭
Share:

নাগাড়ে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পেয়ে কৌতূহলে এগিয়ে এসেছিলেন জঙ্গলে পাতা কুড়োতে আসা মহিলারা। এসে দেখলেন, গাছের ডালে এক বধূর দেহ ঝুলছে। আর গাছের তলায় মাস ছয়েকের শিশুকন্যা কেঁদে চলেছে।

Advertisement

সোমবার পুরুলিয়ার বোরো গ্রাম লাগোয়া হরিডির জঙ্গল থেকে পুলিশ পূর্ণিমা মাহাতো (২১) নামে ওই বধূর দেহ উদ্ধার করে। তাঁর বাড়ি বোরো গ্রামে। মৃতার কাকা নিরঞ্জন মাহাতোর অভিযোগে পুলিশ সোমবার রাতেই পূর্ণিমার স্বামী সুকুমার মাহাতোকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার পূর্ণিমার দেহের সুরতহাল করার পরে ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বরাবাজার থানার ঝরিয়াডি গ্রামের বাসিন্দা নিরঞ্জনবাবু লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, দেড় বছর আগে তাঁর ভাইঝি পূর্নিমার সঙ্গে বোরোর বাসিন্দা সুকুমারের বিয়ে হয়। তাঁদের ছ’মাসের একটি মেয়ে আছে। নিরঞ্জনবাবু এ দিন বলেন, “দাদা সাধু হয়ে সংসার ত্যাগ করার পর ভাইঝিকে আমিই মানুষ করেছি। বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে শ্বশুরবাড়িতে পূর্ণিমার উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হত। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ও আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু হয়েছে।

ও দিকে, বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার সোমসার গ্রামে এক বধূকে নির্যাতন করে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে পুলিশ ধরেছে। আর্জিনা বেগম নামে ওই বধূ গত ১৪ এপ্রিল থানায় অভিযোগ করেন, দু’বছর আগে বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর উপরে অত্যাচার চালাচ্ছিলেন। তাঁর স্বামী বর্ধমানের গলসিতে কাজ করতেন। মাস কয়েক আগে স্বামী বাড়ি ফিরে এসে তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। বধূর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মঙ্গলবার সকালে স্বামী শেখ সাবির, শ্বশুর শেখ আসলেম ও শাশুড়ি মুকসুমা বেগমকে গ্রেফতার করে। বিষ্ণুপুর আদালত ধৃতদের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন