(বাঁ দিকে) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে গিয়ে সম্প্রতি পুড়ে মৃত্যু হয় মুর্শিদাবাদের সাত জন শ্রমিকের। বুধবার দার্জিলিংয়ের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মৃত শ্রমিকদের পরিবার পিছু এক জনকে যাতে হোমগার্ডে চাকরি দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে ডিজি রাজীব কুমারকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার বহরমপুরে গিয়ে মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি পরিবারের হাতে দু’লক্ষ টাকার চেকও তুলে দেওয়া হয়। বুধবারের বৈঠকে মমতা প্রথমে বলেন, মুর্শিদাবাদের চার জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বেঙ্গালুরুতে। কিন্তু মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানান, চার জন নন। মোট সাত জন গিয়েছিলেন। প্রত্যেকেই মারা গিয়েছেন। শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই হোমগার্ডে ‘বিশেষ নিয়োগ’ নিয়ে নির্দেশ দেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীবকে।
বহরমপুরের নগড়াজোলের পাঁচপীরতলা এলাকার বাসিন্দা ওই সাত শ্রমিক কাজের সন্ধানে কর্নাটকে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি সেখানে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে ওই সাত শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হন। তাঁদের শরীরের বেশির ভাগ অংশই পুড়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রাখা হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু শরীরের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যাওয়ায় একে একে সাত জনেরই মৃত্যু হয়। মৃতদের নাম মিনারুল শেখ, জিয়াবুল শেখ, তাজিবুল শেখ, জাহেদ আলি, হাসান মল্লিক, নূরজামান শেখ এবং সফিজুল শেখ। গত সপ্তাহের সোমবার রাতে বেঙ্গালুরুর বিদাদি থানা এলাকায় মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ের ধারে দুর্ঘটনাটি ঘটে। নির্মাণ সংস্থার আবাসনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ওই সাত শ্রমিকের।
গত সেপ্টেম্বরে বৃষ্টিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কলকাতার ১০ জন এবং শহরতলির দু’জনর মৃত্যু হয়েছিল। আগামী শুক্রবার এই ১২ জনের পরিবার পিছু এক জনকেও হোমগার্ডে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।