যাদবপুরে নিন্দায় মুখর প্রাক্তনীরাও

দেশ-বিদেশে থাকা যাদবপুরের বহু প্রাক্তন পড়ুয়া এই বিষয়ে একজোট হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াকে অবলম্বন করে। অনলাইনে #HandsOffJU ‘পিটিশন’-এ সই সংগ্রহ চলছে। সেটি পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের কাছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৮ ০৪:২৭
Share:

ফাইল চিত্র।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছ’টি বিষয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের নিন্দায় মুখর হলেন প্রাক্তনীরাও। বিচ্ছিন্ন ভাবে প্রতিবাদ করা বা দাবি জানানো নয়। একেবারে সঙ্ঘবদ্ধ প্রতিবাদ। যূথবদ্ধ দাবি পেশ।

Advertisement

দেশ-বিদেশে থাকা যাদবপুরের বহু প্রাক্তন পড়ুয়া এই বিষয়ে একজোট হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াকে অবলম্বন করে। অনলাইনে #HandsOffJU ‘পিটিশন’-এ সই সংগ্রহ চলছে। সেটি পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের কাছে।

প্রাক্তনীদের বক্তব্য, প্রতি বছরই যাদবপুরের কলা বিভাগে বিভিন্ন বিষয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষার ভিত্তিতে পড়ুয়া ভর্তি করা হয়। ৪০ বছর ধরে বিভাগীয় শিক্ষক-শিক্ষিকারাই সযত্নে প্রশ্নপত্র তৈরি করে, সমান যত্নে উত্তর যাচাই করে, উপযুক্ত ছাত্রছাত্রীদের বেছে নিয়েছেন। প্রবেশিকা পরীক্ষার এই রেওয়াজ কলা বিভাগের মান রক্ষা করতে সাহায্য করেছে। প্রাক্তনীদের যুক্তি, বোর্ড পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের তেমন কোনও গুরুত্ব ছিল না যাদবপুরে। কারণ, বিভিন্ন বোর্ডের নির্ধারিত পঠনপাঠন আর স্নাতক স্তরে সাহিত্য, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন বা কলা বিভাগের অন্যান্য বিষয়ে নিবিড় পড়াশোনার মধ্যে আমূল পার্থক্য রয়েছে। এই সব বিষয়ের প্রতি আগ্রহ, যে-কোনও বিষয়কে তলিয়ে পড়ার ক্ষমতা, নিজের জগৎ চেনাজানা এবং সেই সঙ্গে সমাজকে বিশেষ পদ্ধতি, তত্ত্ব ও জ্ঞানের সাহায্যে বিশ্লেষণের ইচ্ছা— এই সব বিষয়েই আগ্রহ ও দক্ষতার পরীক্ষা নেওয়া হয় প্রবেশিকায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: শিক্ষায় ‘অনিলায়ন’: সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে

সেই প্রবেশিকা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন প্রাক্তনীরা। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে #HandsOffJU পিটিশনে সই সংগ্রহ চলছে। ইংরেজি বিভাগের এমিরেটাস অধ্যাপিকা সুপ্রিয়া চৌধুরী-সহ অনেকে তাতে সই করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন