সোনাগাছির এক যৌনকর্মীর হাতে ফর্ম তুলে দিচ্ছেন সিইও মনোজ আগারওয়াল। —নিজস্ব চিত্র।
যৌনকর্মীদের জন্য বিশেষ শিবির করল নির্বাচন কমিশন। সোনাগাছির তিনটি জায়গায় এই শিবিরে গিয়ে নিজেদের সমস্যার কথা জানালেন ৮০০-রও বেশি যৌনকর্মী। বিশেষ শিবিরে মঙ্গলবার হাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগারওয়ালও। রামবাগান, কদমতলা ক্লাব এবং শীতলামন্দির— সোনাগাছির এই তিনটি এলাকায় শিবির হয় মঙ্গলবার।
কমিশন সূত্রে খবর, সোনাগাছির তিনটি শিবিরে ৮০৩ জন এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৬ নম্বর ফর্ম পূরণ করে ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন করেছেন ২১০ জন। ৮ নম্বর ফর্ম জমা হয়েছে ৫১টি। ১২ জন এনুমারেশন ফর্ম জমা দিয়েছেন। বাকি অনেকের নথি সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার কালীঘাট এবং খিদিরপুরের যৌনপল্লিতে বিশেষ শিবির হবে বলে জানিয়েছেন, যৌনকর্মীদের সন্তানদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘আমরা পদাতিক’-এর অন্যতম সংগঠক মহাশ্বেতা মুখোপাধ্যায়।
যৌনকর্মীদের নথি সংক্রান্ত বাস্তব সমস্যার কথা জানিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি লিখেছিল ‘আমরা পদাতিক’-সহ তিনটি সংগঠন। তার পরেই উদ্যোগী হয়েছিল কমিশন। সূত্রের খবর, কমিশনের আধিকারিকেরা সোনাগাছির যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলিকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন, বিহারেও যৌনপল্লি রয়েছে। কিন্তু সেখানে এই ধরনের উদ্যোগ কোনও সংগঠনকেই নিতে দেখা যায়নি।
সোনাগাছিতে এখন যৌনকর্মীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। তাঁদের মধ্যে হাজারতিনেক যৌনকর্মী প্রত্যহ পেশার জন্য সেখানে আসেন। কাজের শেষে আবার বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু এমন হাজারসাতেক যৌনকর্মী আছেন, যাঁরা সোনাগাছিতেই স্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন বছরের পর বছর ধরে। অধিকাংশেরই ভোটার পরিচয়পত্র কার্ড রয়েছে। তাঁরা ভোটও দেন। কিন্তু ২০০২ সালের নথি জোগাড় করতে তাঁরা অপারগ। যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলির বক্তব্য, এই মহল্লায় কয়েকশো যৌনকর্মী রয়েছেন, যাঁদের নথি সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে।