SSC Recruitment Case

শিক্ষকদের কেন অতিরিক্ত ১০ নম্বর? এসএসসির নিয়োগবিধি নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ ‘বঞ্চিত’ চাকরিপ্রার্থীদের

নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের বয়ঃসীমা নিয়েও আপত্তি জানিয়েছেন বঞ্চিতেরা। সোমবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ ওই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনি। তাই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫ ১৪:৪৬
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

এসএসসির নতুন নিয়োগ বিধি নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। মঙ্গলবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁদের আইনজীবী। তাঁদের বক্তব্য, নতুন নিয়োগ বিধি নিয়ে হস্তক্ষেপ করেনি সিঙ্গল বেঞ্চ। নিয়োগ সঠিক ভাবে না হওয়ার জন্য পুরো প্যানেল বাতিল হয়েছে। সেই প্যানেলের শিক্ষকদের জন্য কেন অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়া হবে? এর ফলে ওয়েট লিস্টেড বা বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা আবার সুযোগ পাবেন না।

Advertisement

এ ছাড়া নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের বয়ঃসীমা নিয়েও আপত্তি জানিয়েছেন বঞ্চিতেরা। সোমবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ ওই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনি। তাই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ ওই চাকরিপ্রার্থীরা। এই নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। মামলা দায়ের করার অনুমতি মিলেছে। চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন রাজ্যের ২৫ হাজার ৭৩৫ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। তাঁরা সকলেই এসএসসির ২০১৬ সালের প্যানেলভুক্ত। ২০১৬ সালের চাকরিহারাদের জন্য নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। পরীক্ষার বিধিতেও নানা বদল আনা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। অবকাশকালীন বেঞ্চের অনুমতিতে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ ওই মামলাগুলি করেছিলেন। মামলাকারীদের দাবি ছিল, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিধি ২০১৬ সালের মতোই করতে হবে। ২০২৫ সালের নিরিখে ন’বছর আগের নিয়োগপ্রক্রিয়ার বিধি নির্ধারণ করা অযৌক্তিক। শুধু তা-ই নয়, ২০১৬ এবং ২০২৫ সালের নম্বরের তুলনা করলে দেখা যাবে, আগে ৫৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হত। সেখানে এখন ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও, চাকরিপ্রার্থীদের যোগ্যতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে আরও নানা মাপকাঠি সংযোজন করা হয়েছে। যেমন, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং ‘লেকচার ডেমনস্ট্রেশন’-এর উপরেও থাকছে নির্দিষ্ট নম্বর। ফলে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা, যাঁরা আগে অপেক্ষমাণ তালিকা, অর্থাৎ ওয়েটিং লিস্টে ছিলেন, তাঁরা যোগ্যতার দৌড়ে পিছিয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা। এমনই নানা কারণ দেখিয়ে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানান মামলাকারীরা।

Advertisement

সোমবার এসএসসি-র নতুন বিজ্ঞপ্তি নিয়ে রায় দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের নির্দেশ, কোনও ‘দাগি বা চিহ্নিত অযোগ্য’ প্রার্থী যদি ইতিমধ্যেই আবেদন করে থাকেন, সেই আবেদনপত্র বাতিল করতে হবে। হাই কোর্ট স্পষ্টতই জানিয়ে দেয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে গত ৩০ মে যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল এসএসসি, তাকে সামনে রেখেই নিয়োগপ্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। বিজ্ঞপ্তির বাকি অংশে আদালত হস্তক্ষেপ করেনি। এই নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement