Suvendu Adhikari

নন্দীগ্রামে ১৪টা অঞ্চলে মুখ্যমন্ত্রীকে হারাবই, ফের হুঙ্কার শুভেন্দুর

মঙ্গলবার কেন্দ্রের কৃষি বিলের সমর্থনে নন্দীগ্রামের শিবরামপুর থেকে বিরুলিয়া পর্যন্ত পদযাত্রায় পা মেলান শুভেন্দু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২১ ১৮:২২
Share:

নন্দীগ্রামের সভায় শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র

কলকাতায় বলেছিলেন, হাফ লাখ ভোটে হারাবেন মুখ্যমন্ত্রীকে। নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার কেন্দ্রের কৃষি বিলের সমর্থনে নন্দীগ্রামের শিবরামপুর থেকে বিরুলিয়া পর্যন্ত পদযাত্রায় পা মেলান শুভেন্দু। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের ১৪টা অঞ্চলে ভোকাট্টা করে দেব।’’

Advertisement

তেখালির সভা থেকে গত ১৮ জানুয়ারি তৃণমূলনেত্রী ঘোষণা করেছিলেন, তিনি কলকাতার ভবানীপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম, দু’জায়গা থেকেই প্রার্থী হতে পারেন। পরের দিন দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপি-র সভা থেকে মমতাকে হাফ লাখ ভোটে হারানোর কথা বলেন শুভেন্দু। এর পর মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে কে দাঁড়াবে সেটা দল ঠিক করবে। ৩টি অঞ্চলে তৃণমূল কিছু ভোট পেতে পারেন। বাকি ১৪টা অঞ্চলে জিতবে বিজেপি। এখানে তৃণমূল নেত্রীকে আমি নিশ্চিত হারাব।’’ নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়কের কথায়, ‘‘এই মাটি আমি চিনি। ২০০৪ সালে আমি লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম, তখন আমাকে কেউ চিনতেন না। আমি হেরে গিয়েছিলাম। বাম প্রার্থীর সঙ্গে ব্যবধান ছিল মাত্র ৫ হাজার। ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটে জিতেছিলাম ৯০ হাজার ভোটে। ২০১৪ সালের লোকসভাতেও আমার জয়ের ব্যবধান ছিল ৮৫ হাজার। এর পর ২০১৬ বিধানসভা জিতেছিলামন ৮২ হাজারেরও বেশি ভোটে।’’

মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এখানে নির্বাচনে জেতাটা আমার দায়িত্ব। পদ্মফুল যাঁর তিনিই জিতবেন। আপনি দুটো জায়গায় দাঁড়াবেন না। শুধু নন্দীগ্রামেই দাঁড়ান। আপনাকে আমি হারাবই।’’ তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করে শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘‘মাননীয়া এসেছিলেন তেখালিতে। উনি আসলে হায়দরাবাদের পার্টির সভা করেছিলেন। প্রতি ৫ বছর অন্তর আসেন। আবার ভোট এসেছে, উনিও এসেছেন।’’

Advertisement

মমতার দু’জায়গা থেকে দাঁড়ানোর ঘোষণাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘প্রথমে বললেন কে দাঁড়াবে? তার পর বললেন, আমি দাঁড়ালে কেমন হয়। যাঁরা জনগনের টাকা ঝেড়ে পাঁচতলা পাকা বাড়ি করেছেন, তাঁরা হাততালি দিলেন। এর পরেই অঙ্ক কষলেন হয়তো ভোটে জিততে পারবেন না। তাই তখন আবার বললেন, বড় বোন ভবানীপুর, মেজো বোন নন্দীগ্রাম। আমি দু'জায়গাতেই দাঁড়াব।’’

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে কেন গেলেন, সেই ব্যখ্যা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আপনারা বলছেন শুভেন্দু অধিকারী কেন দলবদল করল। কারন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে অপমানিত হয়েছি। তিনি ভাবেন, সবাই তাঁকে মেনে চলবে। আমার মেরুদণ্ড শক্ত, তাই আমি কর্মচারী হতে চাইলাম না। পরিবর্তে ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লেখালাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন