গোর্খাল্যান্ড: কী বলবে, দ্বিধায় পাহাড় তৃণমূল

আজ অরূপের সঙ্গে বৈঠকে তাঁকে পাহাড় সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পাহাড় তৃণমূলের সভাপতি লাল বাহাদুর রাই।

Advertisement

শুভঙ্কর চক্রবর্তী

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৯ ০১:৩৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

এত দিন জোটধর্ম রেখেই চলছিলেন তাঁরা। সে জন্য লোকসভা ভোটের প্রচারে বিনয় তামাংদের ছেড়ে দিয়েছিলেন বাড়তি জায়গা। কিন্তু বিনয় তামাংরা পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলে আন্দোলন শুরু করার ডাক দিলে দ্বিধায় পড়েছেন পাহাড় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। পাহাড়ের সাধারণ মানুষ এই নিয়ে প্রশ্ন করলে কী জবাব দেবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা।

Advertisement

পাশাপাশি, বিনয়দের বিভিন্ন কাজেও তাঁরা ক্ষুব্ধ। কয়েক জন তো মনে করছেন, রাজ্য সরকারের ভাল কাজের সুবিধা নিতে প্রচার করছেন বিনয়রা, অথচ পুলিশ ধরপাকড় করলে তাদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিতে কসুর করছেন না। আজ, বৃহস্পতিবার দলীয় পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠকে সব ক’টি বিষয়ই উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে জিটিএ-তে দায়িত্ব চেয়ে ফের দলীয় নেতৃত্বের কাছে দরবার করা হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।

আজ অরূপের সঙ্গে বৈঠকে তাঁকে পাহাড় সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পাহাড় তৃণমূলের সভাপতি লাল বাহাদুর রাই। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড়ে দলের বর্তমান পরিস্থিতি, সদস্য নবীকরণ, সরকারি প্রকল্পের প্রচার, বুথ স্তরের সাংগঠিক পরিস্থিতি, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির হাল— সবই থাকবে ওই রিপোর্টে। পাহাড় তৃণমূল নেতাদের একাংশ মনে করছেন, সহযোগী দলের হাতে সব তুলে না দিয়ে রাশ খানিকটা নিজেদের হাতেও রাখা উচিত। এর আগেও তাঁরা জিটিএতে দায়িত্ব চেয়ে দলের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন। অরূপের

Advertisement

কাছে ফের সেই দাবি তোলা হবে বলেই জানিয়েছেন কেউ কেউ। এক নেতা বলেন, ‘‘জোট-ধর্ম বজায় রাখতে গিয়ে পাহাড়ে উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি না। টাকা দিচ্ছে রাজ্য। অথচ জিটিএতে থাকার দৌলতে প্রচার পাচ্ছেন অনীত থাপা, বিনয় তামাংরা।’’ আর এক নেতা বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি থেকে পাট্টা দেওয়া— সবটাই রাজ্য সরকার করছে। অথচ পাহাড়ের মানুষ ভাবছে বিনয়রা লড়াই করে দাবি পূরণ করছেন। আবার কিছু ঘটলেই পুলিশের উপরে দোষ চাপানো হচ্ছে। এক কথায়, ভাল কাজের কৃতিত্ব নিচ্ছেন বিনয়রা, আর একটু এ দিক ও দিক হলেই রাজ্যকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে।’’ এলবি রাইও চাইছেন, পাহাড়ে ঘর গোছাতে সংগঠন বৃদ্ধির উপর জোর দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘জোট রাজনীতির কিছু বাধ্যবাধকতা

থাকেই। তবে পাহাড়ে দলীয় শক্তি বৃদ্ধি হওয়াটা জরুরি। পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবি ফের জোরালো হচ্ছে। এখন বুঝেশুনে পা ফেলতে হবে। অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেই পরবর্তী পদক্ষেপ করব আমরা।’’ অরূপ বলেন, ‘‘কোথায় কী দাবি উঠেছে, সেটা কথা না। আমাদের কাজ হচ্ছে মানুষের কাজ করা, তাই করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন