CBI

CBI: বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় সিবিআই জেরার মুখে কেশপুরের সেই রফিক

সিবিআইয়ের চিঠি পেয়ে বুধবার খড়্গপুরে হাজিরা দিতে আসেন বলে জানিয়েছেন রফিক। যদিও বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে দাবি তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কেশপুর শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২২ ১৮:১৭
Share:

তৃণমূল নেতা মহম্মদ রফিক। —নিজস্ব চিত্র।

বিজেপি কর্মী সুশীল ধাড়ার খুনের ঘটনায় তিনি জড়িত নন। সিবিআইয়ের কাছে এমন দাবিই করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা মহম্মদ রফিক। বুধবার রফিক ছাড়া কেশপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠী-সহ আট জন নেতা-কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।

প্রসঙ্গত, গত বছরের অগস্টে বিজেপিকর্মী সুশীল ধাড়া খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। সুশীলের মেয়ে সঙ্গীতা ধাড়া (চৌধুরী) কেশপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এর পরে আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের তালিকায় কেশপুরের ব্লক সভাপতি উত্তমানন্দ, মহম্মদ রফিক-সহ মোট ১২১ জনের নাম রয়েছে। অভিযুক্তদের একে একে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই খড়্গপুরের ক্যাম্পে তাঁদের ডেকে পাঠাচ্ছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

Advertisement

সিবিআই সূত্রে খবর, বুধবার সকাল থেকে খড়্গপুরে সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসে হাজিরা দেন তৃণমূল নেতারা। রফিক বলেন, ‘‘দু’দিন আগে আমার বাড়িতে সিবিআইয়ের একটি দল চিঠি দিতে গিয়েছিল।’’

মেদিনীপুর শহরের সিপাইবাজার এলাকায় রফিকের বাড়ি। সিবিআইয়ের চিঠি পেয়ে বুধবার খড়্গপুরে হাজিরা দিতে আসেন তিনি। যদিও বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে সিবিআইয়ের কাছে দাবি করেছেন তিনি। সুশীল-খুনের দিন তিনি একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ছিলেন বলেও দাবি রফিকের। তার প্রমাণস্বরূপ ওই দিনের ভিডিয়ো ফুটেজ নিয়ে সিবিআইয়ের কাছে হাজির হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। রফিক বলেন, ‘‘রাজ্য সভাপতি থেকে শুরু করে দলের মুখপাত্রকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’

Advertisement

নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন ব্লক সভাপতি উত্তমানন্দও। তিনি বলেন, ‘‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই ডেকেছিল। বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। তবে ওই ঘটনা সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই বলেও জানিয়েছি।’’

প্রসঙ্গত, কেশপুরের ২৭০ নম্বর বুথের বিজেপি সম্পাদক ছিলেন সুশীল। আদালতের কাছে সঙ্গীতার অভিযোগ, গত বছরের ১৯ অগস্ট তাঁর বাবাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এমনকি, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার জন্য চাপ দেওয়া ছাড়া দাবি করা হয় ২ লক্ষ টাকা। ওই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় সুশীলকে মারধরও করা হয়। আহত সুশীলকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। ২২ অগস্ট সুশীল মারা যান। তার পর জোর করে তাঁর দেহ দাহ করে দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে ৩০ অগস্ট থানায় অভিযোগ জানানো হলে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ‘‘আইনের প্রতি ভরসা রয়েছে। দোষীদের শাস্তি হোক, এটাই চাইব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন