চার বছরে রাজ্যে অপমৃত্যু ৪১ বন্দির

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে বন্দিদের পরিবার-পরিজনকে কত টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, তা জানাতে হবে আগামী সপ্তাহে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৮ ০৪:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যের বিভিন্ন জেলে ২০১২-’১৫ সালের মধ্যে ৪১ জন বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে বন্দিদের পরিবার-পরিজনকে কত টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, তা জানাতে হবে আগামী সপ্তাহে।

Advertisement

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত যে-সব বন্দি চোদ্দো বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলে রয়েছেন, তাঁদের মুক্তির বিষয়টি ‘স্টেট সেন্টেন্সিং রিভিউ কমিটি’ দেখছে কি না, তা জানানোর জন্য রাজ্যকে এ দিন নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত আদালতে জানান, বিভিন্ন জেলে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তথা চোদ্দো বছরের বেশি জেলে রয়েছেন, এমন বন্দির সংখ্যা ৫৭।

কিন্তু একটি মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষে আইনজীবী রঘুনাথ চক্রবর্তী এ দিন ডিভিশন বেঞ্চে দাবি করেন, ওই ধরনের বন্দির সংখ্যা ৪৫৯। ওই আইনজীবী আদালতে জানান, নিয়ম অনুযায়ী যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৫৫ বছরের বেশি বয়সি মহিলা চোদ্দো বছর জেল খাটলে মুক্তি পেতে পারেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে সেই বয়ঃসীমা ৬০ বছর।

Advertisement

বিভিন্ন জেলে বিচারাধীন যে-সব বন্দি রয়েছেন, তাঁদের সর্বোচ্চ শাস্তির মেয়াদ সাত বছর হলে তাঁরাও মুক্তি পেরে পারেন বলে জানান আইনজীবী রঘুনাথবাবু। তিনি এটাও জানান যে, বিভিন্ন জেলায় যে-সব সংশোধনাগার রয়েছে, সেখানকার বিচারাধীন বন্দিদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য জেলাগুলিতে ‘ভিজিটর্স বোর্ড’ গড়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এ রাজ্যে সেই বোর্ড কাজ শুরু করেছে কি না, দু’সপ্তাহের মধ্যে তা জানানোর জন্য এজি-কে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। দেশের বিভিন্ন জেলে বন্দিদের অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য সব হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছে। সেই মামলার শুনানিতেই এই নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন