সাধারণ ভাবে রেলের ইন্টারলক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতির আয়ু ধরা হয় ২৫ বছর। অর্থাৎ সিকি শতক কেটে গেলেই বদলাতে হয় সেই প্রযুক্তি। সেই নিয়ম অনুযায়ী খড়্গপুরের কেবিনে ইন্টারলক প্রযুক্তি কয়েক বছর আগেই পাল্টানোর কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে সেটা করা যায়নি। প্রযুক্তি বদলাতে যে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কর্তারাও সেটা স্বীকার করছেন।
এত দিনে সেই প্রযুক্তি বদলাতে উদ্যোগী হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। এশিয়ার বৃহত্তম ব্যবস্থায় ৮০০ রুটের ইন্টারলক প্রযুক্তি এ বার পুরোপুরি কম্পিউটারের মাধ্যমে চালানো হবে।
এই ধরনের কাজের জন্য কয়েক দিন ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়। বাতিলও করতে হয় কিছু ট্রেন। তাই কাজে নামার তিন-চার মাস আগে ঘোষণা করে যাত্রীদের তা জানানো হয়। যাতে তাঁরা ওই সময়টা এড়িয়ে অন্য সময়ে ট্রেনের আসন সংরক্ষণ করেন। কিন্তু খড়্গপুরে পরিবর্তনের কাজটা করতে এমনিতেই খুব দেরি হয়ে গিয়েছে। তাই সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কর্তারা আর সময় নষ্ট করতে চাননি। ফলে যাত্রীদের চার মাস আগে পরিবর্তনের বিষয়টি জানানো যায়নি।
মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে ওই রেলের চিফ অপারেশন ম্যানেজার সুচিত্ত দাস বলেন, ‘‘ওই কাজের জন্য ১৭, ১৮ এবং ১৯ নভেম্বর যে-সব ট্রেন বাতিল করা হয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগ যাত্রীকেই এসএমএস করে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সব ট্রেনের আসন সংরক্ষণের পুরো টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’’
রেলকর্তারা জানান, ১৭ এবং ১৮ তারিখে অনেক ট্রেন বাতিল থাকলেও কিছু চালানো হবে। তবে ১৯ তারিখ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খড়্গপুরে কোনও ট্রেনই চালানো যাবে না। ইতিমধ্যে প্রযুক্তি বদলের কাজ শুরু হয়েছে। ১৯ তারিখে পুরনো প্রযুক্তির সব বৈদ্যুতিক লাইন খুলে নতুন প্রযুক্তিতে জোড়া হবে। তার পরেই কাজ শুরু করবে নতুন বসানো সলিড স্টেট ইন্টারলক প্রযুক্তি। তার পরে নতুন ব্যবস্থায় চলবে ট্রেন। এই প্রযুক্তি বসাতে খরচ পড়ছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা।