হাসনাবাদে খুন, নিহতের পরিচয় নিয়ে চাপানউতোর

বৃহস্পতিবার রাতে খুন হন উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের তকিপুর কাঠগোলাপাড়ার বাসিন্দা সরস্বতী দাস (৩৭)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৯ ০৪:১১
Share:

সরস্বতী দাস।

নিহত মহিলার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হল বিজেপি-তৃণমূলের তরজা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে খুন হন উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের তকিপুর কাঠগোলাপাড়ার বাসিন্দা সরস্বতী দাস (৩৭)। পুলিশের অনুমান, খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে। সাইলেন্সর লাগানো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

ঘটনার সময়ে সরস্বতীর স্বামী-ছেলে বাড়ি ছিলেন না। পাড়া-পড়শিরাও গুলির শব্দ পাননি বলেই জানিয়েছেন পুলিশকে। দেহের পাশ থেকে রক্তমাখা কাঠের টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিছানায় পড়েছিল প্রায় ২ লক্ষ টাকা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ব্যবসা-সংক্রান্ত গোলমালের জেরে পরিচিত কেউ খুন করেছে সরস্বতীকে। স্থানীয় একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এক সময়ে তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকলেও ইদানীং বিজেপির সঙ্গেই ওঠাবসা ছিল সরস্বতীর। খুনের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির দাবি, সরস্বতী তাঁদের দলের মহিলা মোর্চার নেত্রী ছিলেন। লোকসভা ভোটেও দলের হয়ে প্রচারও করেছিলেন তিনি। আবার তৃণমূলের দাবি, সরস্বতী তাদের দলের কর্মী। শনিবার সরস্বতীর দেহ ময়নাতদন্ত হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য, গণেশ ঘোষরা দেখা করেন তাঁর পরিবারের সঙ্গে। সরস্বতীর ছেলে সুমনের দাবি, মা বিজেপি করতেন। শমীকের দাবি, সন্দেশখালিতে দুই বিজেপি কর্মী খুন হওয়ার পরে বিজেপির যে দল ভাঙিপাড়ায় গিয়েছিল, সেই দলে ছিলেন সরস্বতী। তার পর থেকে তৃণমূল হুমকি দিচ্ছিল বলে জানিয়েছিলেন সরস্বতী।

Advertisement

তাঁর স্বামী শুভঙ্কর অবশ্য বলেন, ‘‘আমাদের পরিবারই তৃণমূল সমর্থক।’’ স্থানীয় তৃণমূল নেতা মোস্তাফা মণ্ডলেরও দাবি, ‘‘ভোটের আগে মুরারিশায় মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যান সরস্বতী। বিজয় উৎসবেও ছিলেন।’’ তৃণমূলের দাবি, সুদের কারবার ছিল সরস্বতীর। সম্প্রতি ১২ লক্ষ টাকায় বাড়ি কিনেছিলেন। শমীকের বক্তব্য, ‘‘যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসছেন, তাঁদের খুন করা হচ্ছে। না-হলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement