— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ভারতে বসেই পাকিস্তানের সঙ্গে গড়ে উঠেছিল ‘বন্ধুত্ব’! এর পর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজের নাম করে ভারতীয় ফোন নম্বর চান পাকিস্তানের ওই ব্যক্তি। বিশ্বাস করে তা-ও তুলে দিয়েছিলেন ভিন্দেশি বন্ধুর হাতে। সেই নম্বরের সূত্র ধরেই বর্ধমান থেকে দুই যুবককে গ্রেফতার করল বেঙ্গল এসটিএফ তথা স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই ধৃতের নাম মুকেশ রজক এবং রাকেশ কুমার গুপ্ত। অভিযোগ, বেশ কিছু দিন আগে ওই দুই যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল পাকিস্তানের এক ব্যক্তির। ওই ব্যক্তি পাকিস্তানের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ করেন বলে নিজের পরিচয় দেন। ক্রমে পরিচয় বন্ধুত্বে গড়ায়। ‘বন্ধু’কে বিশ্বাস করে তাঁকে ভারতীয় ফোন নম্বরও জোগাড় করে দেন মুকেশ ও রাকেশ। সেই নম্বর ব্যবহার করে হোয়াট্সঅ্যাপ খোলা হয়। তার আগে ওটিপি যায় ভারতের ওই নম্বরে। সেই ওটিপিও বন্ধুকে পাঠান ধৃতেরা। ওই হোয়াট্সঅ্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এর পরেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বর্ধমানে ছুটে যায় বেঙ্গল এসটিএফ। গ্রেফতার করা হয় দুই যুবককে। ধৃতদের বিরুদ্ধে টেলিগ্রাফি আইন, ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফি আইন এবং বিদেশি শনাক্তকরণ আইনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পাকিস্তানি ওই ব্যক্তির সঙ্গে ধৃতদের কী কী কথা হয়েছে, ফোন নম্বরের পাশাপাশি দু’পক্ষে কোনও তথ্য আদানপ্রদান হয়েছে কি না, সে সবও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ওই ফোন নম্বর ব্যবহার করে কী কী করা হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।