একসঙ্গে: নজর টানার প্রতিযোগিতা। ২১ জুলাই এবং নরেন্দ্র মোদীর সভার প্রচার-তোরণ। মেদিনীপুর কলেজ মাঠে। রবিবার। ছবি:রণজিৎ নন্দী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মেদিনীপুরে পৌঁছনোর আগেই পুড়ল তাঁর কুশপুতুল। উঠল ‘মোদী গো ব্যাক’ স্লোগানও। সৌজন্যে তৃণমূল এবং সিপিএম।
বিক্ষোভের পদ্ধতি এক। তবে রবিবার দু’দল আন্দোলনের জন্য বেছে নিয়েছিল পৃথক জায়গা। তৃণমূল বিক্ষোভ দেখিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল মেদিনীপুরের কলেজ-কলেজিয়েট স্কুল মাঠের কাছে। কিন্তু সিপিএম শহরের অন্য তিন জায়গায় বিক্ষোভ দেখায়।
আজ, সোমবার মেদিনীপুরে আসছেন মোদী। দু’দলের এ দিনের কর্মসূচিতে ইঙ্গিত মিলল, মোদীর সভা ঘিরে অশান্তির আঁচ ছড়াতে পারে। এ দিন বিকেলে মোদীর সভাস্থলের কাছে মাঠের মূল গেটের সামনে তৃণমূলের মিছিল পৌঁছয়। তৃণমূল নেতা সৌরভ বসুর নেতৃত্বে মোদীর কুশপুতুল পোড়ানো হয়। শুরু হয় ‘মোদী গো ব্যাক স্লোগান’। সৌরভ বলেন, “শান্ত মেদিনীপুরকে অশান্ত করতে প্রধানমন্ত্রী আসছেন। আমরা এরই প্রতিবাদ জানিয়েছি।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতিও বলেন, “মোদী কৃষকবন্ধু নন, কৃষকবিরোধী।” তবে মোদীর কুশপুতুল পোড়ানোয় তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূল সূত্রের খবর, এই ঘটনায় সৌরভবাবুকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে।
বিকেলে রাঙামাটি-সহ তিন জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় সিপিএমও। কুশপুতুল থেকে স্লোগান—সবই ছিল সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে। সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক তরুণ রায় বলেন, “রবিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছে। সোমবারও হবে।” কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভের কর্মসূচি রয়েছে সিপিএমের। তরুণবাবু বলেন, “আগে থেকে কিছু বলছি না। অবস্থা দেখে ব্যবস্থা হবে।”
সব দেখে নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করছে পুলিশ। একাধিক হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার কোন হেলিপ্যাডে নামবে, সেখান থেকে কোন রাস্তা ধরে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় সভাস্থলে পৌঁছবে, রবিবার পর্যন্ত তা স্পষ্ট হয়নি। একাধিক রুটেই মহড়া হয়েছে।