দ্বিতীয় হুগলি সেতু। —ফাইল চিত্র।
কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে কাজের জন্য নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে পণ্যবাহী যান চলাচল। ভারী এবং মাঝারি পণ্যবাহী গাড়িকে সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিদ্যাসাগর সেতু (দ্বিতীয় হুগলি সেতু) দিয়ে যাতায়াত করতে দেওয়া হবে না। কলকাতা থেকে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কমুখী পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে টালা সেতু, বিটি রোড এবং নিবেদিতা সেতু হয়ে চলাচল করতে হবে। আগামী রবিবার থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে।
তবে গ্যাস সিলিন্ডারের গাড়ি, জ্বালানিবাহী গাড়ি, ওষুধ, সব্জি, ফল, মাছ, দুধ এবং অক্সিজেনবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে এই কড়াকড়ি থাকছে না। এত দিন দুপুরের দিকে মাঝারি এবং হালকা পণ্যবাহী গাড়িকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে কলকাতায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হত। আপাতত তা বন্ধ রাখা হচ্ছে।
শুক্রবার লালবাজারে এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে বসেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এবং হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী। ওই সাংবাদিক বৈঠক থেকেই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়। কলকাতা ও হাওড়া পুলিশের তরফে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। হাওড়ার সিপি প্রবীণ জানান, বর্তমানে সাঁতরাগাছিতে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ছ’লেনের সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এর ফলে সাঁতরাগাছি উড়ালপুলের উভয় দিকেই যানজট তৈরি হচ্ছে। রাস্তাও সরু হয়ে গিয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে অনেক পণ্যবাহী গাড়ি হাওড়ার উপর দিয়ে কলকাতা বা ডানকুনির দিকে যায়। কিন্তু এখন রাস্তার কাজের জন্য তাতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
সামনেই দুর্গাপুজো আসছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের যাতায়াতে যাতে কোনও সমস্যা না-হয়, তা নিশ্চিত করতে দুই শহরের পুলিশ যৌথ ভাবে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেয়। বিশেষ করে ছোট গাড়ি যাতে যানজটের মধ্যে আটকে না থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানান হাওড়ার পুলিশ কমিশনার। মূলত কোনা এক্সপ্রেসওয়ের উপর গাড়ির চাপ কমাতে এই সিদ্ধান্ত। হাওড়ার সিপি জানান, ছোট গাড়িগুলি কোনা এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে আসবে। তবে কত দিন পর্যন্ত এই নিয়ন্ত্রণ কার্যকর থাকবে, তা এখনই নিশ্চিত করেননি পুলিশকর্তারা। পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ বিষয়ে জানানো হবে।