প্রতীকী ছবি।
জেলের গালভরা নাম হয়েছে সংশোধনাগার। কিন্তু বর্ষার স্যাঁতসেঁতে মরসুম হোক বা হাড়মাস কালিয়ে দেওয়া শীত, কারাগারের পাথর বা সিমেন্টের মেঝেতে স্রেফ কম্বল পেতে শুতে হয় বন্দিদের। অবশেষে তাঁদের সেই দুর্ভোগের দিন শেষ হতে চলেছে। বন্দিশালার অষ্টপ্রহরের কষ্টের মধ্যে একটু স্বস্তি দিতে তাঁদের জন্য আসছে ‘ম্যাট্রেস’।
কারা দফতর সূত্রের খবর, এখন জেলে বন্দিদের বিছানা বলতে মেঝেতে কম্বল, তার উপরে চাদর। স্যাঁতসেঁতে মেঝেতে এ ভাবে শোয়ার দরুন বন্দিরা মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সর্দি-কাশি-হাঁপানি তাঁদের অনেকেরই নিত্যদিনের সঙ্গী। ওই সব বন্দির চিকিৎসা করাতে গিয়ে জানা গিয়েছে, ঠান্ডা লেগেই ওই অসুস্থতা।
তাই ম্যাট দেওয়া হচ্ছে। ম্যাট কেনার জন্য সাত সদস্যের কমিটি গড়েছেন কারা দফতরের অফিসার-অন-স্পেশ্যাল ডিউটি অরুণ গুপ্ত। কারা দফতরের অতিরিক্ত আইজি (সাউথ)-র নেতৃত্বে ওই কমিটিতে আছেন প্রেসিডেন্সি, আলিপুর, দমদম কেন্দ্রীয় জেলের সুপারেরা।
কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ‘‘সব সংশোধনাগারেই ধাপে ধাপে ম্যাট্রেস দেব।’’ কারা দফতরের এক কর্তা জানান, প্রথমে ম্যাট্রেস দেওয়া হবে সেন্ট্রাল জেলগুলিতে। তার পরে ধাপে ধাপে সব বন্দিশালাতেই তা দেওয়া হবে। মাদুরের আয়তনের ম্যাটগুলি বাজারদর ৭০ থেকে ৮০ টাকা। প্রায় ২০ হাজার বন্দি আছেন সংশোধনাগারগুলিতে। ধীরে ধীরে সকলেই ম্যাট্রেস দেওয়া হবে।