পরীক্ষা চলাকালীন কলেজে কলেজে যে সব পরিদর্শক দল যায় তারা কী দেখল তাঁর বিস্তারিত লিখিত রিপোর্ট ছবি সমেত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে হবে। এমনই ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে বারাসত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
টোকাটুকি ঠেকাতে গত কয়েক বছর বারাসত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নাজেহাল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলিতে বারবার টোকাটুকির অভিযোগ উঠছে। টোকাটুকির ঘটনা আটকাতে গিয়ে কলেজের শিক্ষক, অধ্যক্ষেদের নিগ্রহের মুখে পড়ার অভিযোগও উঠেছে। শুক্রবার উপাচার্য বাসব চৌধুরী জানিয়েছেন, টোকাটুকির এই ঘটনা রুখতে তাঁরা কড়া পদক্ষেপ করছেন
উপাচার্যের বক্তব্য, অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো বিভিন্ন পরিদর্শক দল কলেজগুলিতে যায়। কিন্তু বাস্তবে তাদের কোনও লিখিত রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা পড়ে না। তাই পরীক্ষার বিষয়ে তেমন কোনও তথ্য ভবিষ্যতে আর পাওয়া যায় না। কোনো রকম ব্যবস্থা নিতেও এর ফলে অসুবিধা হয়। অথচ ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (নাক) বারবারই এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সব রেকর্ড রাখতে বলছে। প্রসঙ্গত, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনও একবারও নাকের মূল্যায়ন হয়নি। যাতে এ বার শুরু হয় তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোগ নিয়েছে। উপাচার্য জানালেন, নাকের নিয়ম মেনেই তাঁরা সব তথ্য রাখতে চাইছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি সব পরিদর্শক দলকে অনুরোধ করছি, তারা যে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবে তার লিখিত বিস্তারিত বিবরণ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন জমা দেয়।’’ তিনি জানান, এই রিপোর্টে পরীক্ষা হলের ছবি, অসাধু উপায় অবলম্বন করতে গিয়ে কোনও পরীক্ষার্থী ধরা পড়লে তাঁর ছবি সহ ঘটনার ছবি - সবই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জমা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, অধীনস্থ কলেজগুলিতে পরীক্ষার সময় কোনও পরীক্ষার্থী যদি অসাধু উপায় অবলম্বন করে রিপোর্টেড এগেইনস্ট (আরএ) হন তাহলে তাঁর নাম খবরের কাগজে প্রকাশ করা হবে। পাশপাশি ওই পরীক্ষার্থী এবং তাঁর পরিবারের এই বিষয়ে কোনও অনুরোধ গ্রাহ্য করা হবে না।