Triplets Pass Madhyamik 2025

মেদিনীপুরের তিন যমজ ভাইয়ের একসঙ্গে মাধ্যমিক পাশ! সাগ্নিক, সম্রাট, সৈকত পড়বে বিজ্ঞান নিয়ে

২০০৮ সালে জন্ম হয়েছিল তিন যমজের। ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলা হয় ট্রিপলেট। বাবা প্রবীর দাশগুপ্ত স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী। মা মনিকা দাশগুপ্ত গৃহবধূ। যমজ তিন ভাই এ বার একই সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২৫ ২২:৪০
Share:

মায়ের সঙ্গে তিন যমজ ভাই। — নিজস্ব চিত্র।

তিন জনের জন্মের ব্যবধান মাত্র কয়েক সেকেন্ডের। একসঙ্গে বেড়ে ওঠা, পড়াশোনাও একই স্কুলের একই ক্লাসে। এ বার একই সঙ্গে মাধ্যমিকেও পাশ করল পশ্চিম মেদিনীপুরের তিন যমজ ভাই সাগ্নিক, সম্রাট ও সৈকত। খয়েরুল্লাচক নেতাজি বিদ্যামন্দিরের তিন ছাত্রের প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে ৫৯৭, ৬২৭ এবং ৫৮৫।

Advertisement

২০০৮ সালে জন্ম হয়েছিল তিন যমজের। ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলা হয় ট্রিপলেট। বাবা প্রবীর দাশগুপ্ত স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী। মা মনিকা দাশগুপ্ত গৃহবধূ। যমজ তিন ভাই এ বার একই সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল। সিটও পড়েছিল একই পরীক্ষাকেন্দ্রের একই ঘরে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সম্রাট ৬২৭, সৈকত ৫৮৫ এবং সাগ্নিক ৫৯৭ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে। তিনজনেই চায় ভবিষ্যতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে। তবে তিন সন্তানকে একসঙ্গে কী ভাবে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াবেন, তা নিয়ে এখন চিন্তায় পরিবার।

মনিকার কথায়, ‘‘তিন ছেলেই পড়াশোনায় ভাল ছিল। মাধ্যমিকেও ভাল ফল করেছে। বিজ্ঞান নিয়ে পড়বে বলে এর মধ্যেই পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছে। তিন ভাই পড়াশোনা থেকে খেলাধুলা, সব কিছু একসঙ্গেই করে। তিনজনের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়াও রয়েছে।’’ সাগ্নিক, সম্রাট ও সৈকতকে দু’জন গৃহশিক্ষক পড়াতেন। পাশাপাশি, বাবা-মাও সাহায্য করতেন পড়াশোনায়। পড়াশোনার পাশাপাশি আঁকতে ভালোবাসে সাগ্নিক। বাকি দুই ভাইয়ের সেদিকে অত আগ্রহ না থাকলেও তিনজনেই পড়াশোনায় বেশ মনোযোগী। তবে পাশ করে কী বলছে তিন ভাই? খুব খুশি, কিন্তু তিনজনের নম্বরের ফারাক দেখে কিছুটা হতাশ তারা!

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement