যা হয়েছে, ভালই হয়েছে, মুকুল

কাঁচরাপাড়ায় তৃণমূল যেন দ্বিধাবিভক্ত। এক দিকে তৃণমূলের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নেতা সব পদ হারিয়ে উদাস মুখে বলছেন, “যা হয়েছে ভালই হয়েছে। যা হচ্ছে তা ভাল হচ্ছে। মান-অভিমানের কিছু তো নেই। দলে অনেক যোগ্য লোক আছেন, তাঁরাই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমি মানুষের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব।” অন্যদিকে, ‘তৃণমূলের একমাত্র কাণ্ডারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ এই স্লোগান তুলে মিছিল বের হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৫ ০৩:০৮
Share:

বীজপুরে মুকুল রায়। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।

কাঁচরাপাড়ায় তৃণমূল যেন দ্বিধাবিভক্ত। এক দিকে তৃণমূলের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নেতা সব পদ হারিয়ে উদাস মুখে বলছেন, “যা হয়েছে ভালই হয়েছে। যা হচ্ছে তা ভাল হচ্ছে। মান-অভিমানের কিছু তো নেই। দলে অনেক যোগ্য লোক আছেন, তাঁরাই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমি মানুষের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব।” অন্যদিকে, ‘তৃণমূলের একমাত্র কাণ্ডারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ এই স্লোগান তুলে মিছিল বের হচ্ছে।

Advertisement

শনিবার বেশি রাতে কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে এসেছিলেন মুকুল রায়। সকাল থেকেই বাড়িতে অনুগামীদের ভিড়। কিছুক্ষণ রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর সোজা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পার্টি অফিসে। পিছন পিছন অনুগামীরাও গেলেন। ‘দাদা’র সঙ্গে দেখা করার ভিড় ততক্ষণে বাড়তে শুরু করেছে। মুখের হাসিটা ম্লান হলেও নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে চলেছেন। তুখোড় রাজনীতিকের ঢঙেই সবাইকে বলছেন, “কোনও চিন্তা নেই, আমি তো সবার জন্য আছি।” সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মনের ক্ষোভ চেপেও মুকুলবাবু বলেন, “খুব কম সময়ের মধ্যে দলকে ক্ষমতায় আনতে পেরেছিলাম। রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে অসংখ্য কর্মী, নেতা তৈরি করতে পেরেছি। এখানেও যে এসেছি কাউকে জানিয়ে আসিনি। তবু মানুষ ভিড় করেছেন। শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এটাই তো বড় পাওয়া।” মুকুলবাবুর সঙ্গে এ দিন দেখা করতে গিয়েছিলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। দুপুরে নিজাম প্যালেসে রওনা হন কাঁচরাপাড়ার ভূমিপুত্র।

‘দাদা’ যখন কলকাতার পথে, তখন ‘তৃণমূলের একমাত্র কাণ্ডারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ এই স্লোগান তুলে মুকুল রায়ের বিরোধী গোষ্ঠী অর্জুন সিংহের নেতৃত্বে হাজার দুয়েক মানুষের মিছিল বের হয়েছে। খোদ কাঁচরাপাড়াতেই অর্জুনবাবু বলেন, “বীজপুর সন্ত্রাসমুক্ত হয়েছে। তৃণমূলের একমাত্র নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে তো দলনেত্রীর ছবি নিয়েই সঙ্কট তৈরি হয়েছিল। তবে এ বার মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে স্বস্তিতে থাকবে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন