বাবা জেসন, দিদি গ্রেস ও মা শার্লটের সঙ্গে ড্যানিয়েল। ছবি: সংগৃহীত।
জন্মদিন কবে হবে তা নিয়ে ইদানীং হবু মা, বাবাদের চিন্তার শেষ নেই। বিশেষ দিনে উদ্বিগ্ন মুখে বাবাদের লাইন পড়ে হাসপাতালের প্রসূতি অস্ত্রোপচারের ঘরের সামনে। কিন্তু যাঁর জন্ম নেওয়ার কথা ছিল ১৭ নভেম্বর, মায়ের শারীরিক সমস্যার কারণে সে-ই পৃথিবীর আলো দেখে ফেলল ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর। জন্মের সময়, সকাল ১১টা ১১! হার্টফোর্ডশিয়রের সেই ছোট্ট ড্যানিয়েল আজ পা দিল ১১ বছরে।
ইংল্যান্ডের হার্টফোর্ডশিয়রের বিশপ স্টর্টফোর্ড। ২০১১-য় জেসন ও শার্লট নিজেদের দ্বিতীয় সন্তানের প্রত্যাশা করছিলেন। চিকিৎসকেরা ওই দম্পতিকে জানিয়েছিলেন, প্রসবের দিন হবে ১৭ নভেম্বর। কিন্তু নির্ধারিত দিনের সপ্তাহখানেক আগে থেকেই শরীর খারাপ হতে শুরু করে শার্লটের। চিকিৎসকেরা দেখে বলেন, কিছুই করার নেই, সময়ের আগেই অস্ত্রোপচার করে বার করতে হবে সন্তান। দুরুদুরু বুকে ১১ নভেম্বর খুব সকালে শার্লটকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছন জেসন। শুরু হয় অস্ত্রোপচার। ২০১১-এর ১১ নভেম্বর, সকাল ঠিক ১১টা ১১ মিনিটে ভূমিষ্ঠ হয় ড্যানিয়েল।
তার পর কেটে গিয়েছে ১১টি বছর। শুক্রবার ১১ বছর পূর্ণ করছে ড্যানিয়েল। শুক্রবার জন্মদিন পালন হচ্ছে তাঁর। আর এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে তাঁকে দেওয়া হচ্ছে ১১টি উপহার। ফুটবলে প্রবল উৎসাহ রাইট উংয়ে খেলা ড্যানিয়েলের। মা জেসন বলছেন, এই বিশেষ দিনে নিশ্চয়ই ড্যানিয়েল ১১টি গোল করবে।
ছেলের জন্মের তারিখ ও সময় নিয়ে আবেগতাড়িত শার্লট বলেন, ‘‘আমরা সত্যিই ভাবিনি যে আমাদের সন্তান ২০১১-এর ১১ নভেম্বর সকাল ১১টা ১১ মিনিটে জন্মাবে। এখন এটা আমাদের জীবনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন হয়ে উঠেছে। আমি তো শুনেছি, অনেকেই একে নিজের ডেবিট কার্ডের পিনও করে ফেলেছেন। জানি না, জেসনের পিন-ও এটাই কি না।’’
প্রসঙ্গত, ১১ নম্বরটি শার্লটের প্রিয়। ছোটবেলা থেকেই ১১-এর প্রতি বাড়তি টান অনুভব করেন। কে জানত, এই ১১-কে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হবে তাঁর জীবন!