আমেরিকা নয়, দুনিয়ার সেরা দেশ হল সুইৎজারল্যান্ড। সুইৎজারল্যান্ডের পরেই রয়েছে কানাডা ও ব্রিটেন।
তালিকায় আমেরিকার স্থান হয়েছে সাত নম্বরে। গত এক বছরে ক্রমশ ট্রাম্পের দেশের ভাবমূর্তি ক্রমশই<br> নেতিবাচক হয়েছে বলে দাবি ওই রিপোর্টে। অস্ট্রেলিয়াকে সরিয়ে কোনও ক্রমে সাত নম্বর জায়গাটি ধরে রেখেছে আমেরিকা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগে রয়েছে জার্মানি, জাপান ও সুইডেন। গত বছরেও চার নম্বরে ছিল আমেরিকা।<br> যদিও সেরা শক্তিধর হিসাবে এখনও একে ট্রাম্পের দেশ। সে ক্ষেত্রে রাশিয়া, চিন, গ্রেট ব্রিটেন ও জার্মানির আগেই রয়েছে আমেরিকা।
এই অনলাইন সমীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩৬টি দেশের মোট ২১,৩৭২ জন। আমেরিকা, এশিয়া, ইউরোপ এবং<br> মধ্য এশিয়া ও আফ্রিকার মানুষজন তাঁদের মত জানিয়েছেন। এর মধ্যে ১২,৩৯৬ জন হলেন কলেজ পড়ুয়া<br> ও মধ্য বা উচ্চবিত্ত এবং ৬,৪৮৯ জন ব্যবসায়ী। বাকিরা হলেন সাধারণ নাগরিক।
চলতি বছরে মোট ৮০টি দেশকে এই সমীক্ষার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।<br> গত বছরে এই তালিকায় স্থান পেয়েছিল ৬০টি দেশ।
সমীক্ষার সময় বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যামে একটি দেশের ৬৫টি বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করা।<br> এর পর সেই বৈশিষ্ট্যগুলি ন’টি বিভাগে ভাগ করে।
ইউএস নিউজের এডিটর ও চিফ কনটেন্ট অফিসার ব্রায়ান কেলি এক বিবৃতিতে বলেন,<br> “রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তন ঘটলে কী ভাবে তা দেশের ভাবমূর্তিতেও<br> প্রভাব ফেলে সে ছবিই তুলে ধরতে চেয়েছি আমরা।”
কোন কোন ক্ষেত্রে ‘অবনতি’ ঘটেছে আমেরিকার? সমীক্ষায় প্রকাশ, ব্যবসা, নাগরিকত্ব,<br> অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম, শিক্ষা, প্রশাসনিক স্তরে স্বচ্ছতার প্রশ্নে নম্বর কমেছে ট্রাম্পের দেশের।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ৭৫ শতাংশের মতে, ২০১৬-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর<br> মার্কিন সরকারের উপর কিছুটা হলেও আস্থা হারিয়েছে তাঁরা।
অন্য দিকে, প্রায় ৫০ শতাংশের মতে, গত এক বছরে বিশ্ব জুড়েই অবস্থার অবনতি হয়েছে।<br> বিএভি কনসালটেন্ট-এর চেয়ারম্যান তথা সিইও জন গারজেমা জানিয়েছেন,<br> বিশ্ব জুড়ে যে উদ্বেগের পরিবেশ গড়ে উঠেছে তারই প্রতিফলন ঘটেছে এই তালিকায়।