(বাঁ দিকে) শেখ হাসিনা , মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)। ফাইল চিত্র।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট বাংলাদেশ সেনার টু-ফিল্ড রেজিমেন্ট আর বেঙ্গল ল্যান্সারের ঘাতকবাহিনীর গুলিতে রাজধানী ৩২ নম্বর ধানমন্ডির সেই বাড়িতেই ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর শিশুপুত্র, অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূকেও রেহাই দেননি মেজর ডালিম, মেজর নূর, মেজর হুদা, মেজর শাহরিয়ার রশিদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারুক রহমানের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী সেনারা। পৌনে এক ঘণ্টার অপারেশনে নিহত হয়েছিলেন ১৮ জন!
সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ৫০তম বর্ষপূর্তির দিনে যাতে কোনও অবস্থাতেই মুজিবকন্যা হাসিনার অনুগামীরা প্রকাশ্যে শোকপালন করতে না পারে, তা নিয়ে চূড়ান্ত তৎপরতা শুরু করল মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মহম্মদ সাজ্জাত আলি জানিয়েছেন, ১৫ আগস্টের সূত্র ধরে অপরাধ সংঘটনের চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেমন ধরনের ‘অপরাধ’ তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। ঢাকার পুলিশ কমিশনার বলেছেন, ‘‘নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ বা তাদের শাখাসংগঠন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সদস্যদের সড়কে নামতে দেওয়া হবে না।’’
গত ৫ অগস্ট হাসিনার সরকারের পতনের পরেই উন্মত্ত জনতা ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দিয়েছিল মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত ৩২ নম্বর ধানমন্ডি। এর পরে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বুলডোজ়ার, ক্রেন, ভ্যাকুয়ম মেশিন এনে মুজিবের স্মৃতি মুছে দেওয়ার সেই ‘বৃত্ত’ ইউনূস সরকারের মদতে সম্পূর্ণ করা হয়েছিল। গত বছর, হাসিনার বিরুদ্ধে প্রবল জনমতের ঢেউ থাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাউকে ৩২ নম্বর ধানমন্ডির আশপাশে দেখা যায়নি। কিন্তু এ বার পরিস্থিতি যে অনেকটাই বদলে গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তা স্পষ্ট। গোপালগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত বহু এলাকাতেই ইউনূস আর তার দোসর জামায়াতে ইসলামি, এনসিপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধে নেমেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। এই আবহে বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞা বারাচ্ছে ইউনূস সরকার।