ফাইল চিত্র।
ভাগ্যে খোকা সঙ্গে ছিল! কী দুর্দশাই হতো তা না হলে...!
এখন ঠিক এই কথাটাই ভাবছেন ‘বীরপুরুষ’ এলিয়টের বাবা। তবে তাঁর খোকা ডাকাতের সঙ্গে লড়েনি, এক বিরাট ভালুককে শটগান মেরে প্রাণে বাঁচিয়েছে বাড়ির লোকজনকে।
জঙ্গলে বাড়ির সবার সঙ্গেই মাছ ধরতে গিয়েছিল এলিয়ট ক্লার্ক। সেখানে হঠাৎ এক ভালুকের আবির্ভাব। এগারো বছরের খুদের সাহসিকতায় প্রাণে বেঁচে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন ক্লার্ক পরিবারের লোকজন।
আমেরিকার আলাস্কা প্রদেশের হুনাহ এলাকার ঘটনা। সম্প্রতি হুনাহর এলাকার গেম ক্রিকের কাছাকাছি এক জঙ্গলে মাছ ধরতে গিয়েছিল এলিয়টরা। সঙ্গে ছিলেন পরিবারের আরও তিন জন, তার কাকা আর খুড়তুতো ভাইরা। সঙ্গ নিয়েছিল পোষ্য তিন কুকুরও। একটা জলা জায়গায় ছিপ ফেলবে ফেলবে করছে এলিয়ট, আচমকা তখনই বিরাট এক বাদামি রঙের এক ভালুক তাদের পথ আটকায়। এলিয়টের পাশে তখন হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে বাড়ির বাকিরা। ছেলেটির কাকার উপরে ভালুকটি ঝাঁপানোর উপক্রম করছে। কাকা রাইফেল বার করার সময়টুকুও পাননি। এই সময়েই গর্জে ওঠে এলিয়টের হাতের শটগান। প্রথম গুলি বিঁধল ভালুকের কাঁধে। তাতে যদিও তার কিছুই হয়নি। পর পর আরও দু’টি গুলি চালায় এলিয়ট। তাতেই জব্দ হয় ভালুকবাবাজি। তখনই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে।
এলিয়টের বাবা লুকাস ক্লার্ক পরে জানিয়েছেন, এমনিতে ওই জঙ্গলে ভালুকের যথেচ্ছ উপদ্রব রয়েছে। মাছ ধরতে যাওয়ার সময় তাই যথেষ্ট সাবধানতা নিয়ে থাকেন তাঁরা। কিন্তু এ বার তাতেও ফল হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘প্রকৃতির উপরে তো আর কারও হাত নেই।’’
স্থানীয় খবরের কাগজে ফলাও করে বেরিয়েছে এলিয়টের বীরত্বের কাহিনি। গোটা হুনাহ এলাকায় ওই ‘বীরপুরুষের’ ভালুক মারার কথা এখন লোকের মুখে মুখে ফিরছে। এলিয়ট নিজে অবশ্য সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে চায়নি। তার বাবা ঘটনার দিন ওয়াশিংটনে ছিলেন। পরে ফোনে একটি সাক্ষাৎকার দিয়ে তিনিই বলেছেন, কী ভাবে তাঁর ছেলে অত বড় একটি ভালুককে মেরে পরিবারের লোকজনকে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছে।