—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
চলতি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হবে হবে বাংলাদেশে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎপর্বের শেষে এই ঘোষণা করলেন বাংলাদেশে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসিরউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘‘এই সপ্তাহে তফসিল (নির্বাচন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি) ঘোষণা হয়ে যাবে।’’
গত অগস্টে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) অনুমোদন করেছিল বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে সে সময় বলা হয়েছিল, ডিসেম্বরে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হতে পারে। এর পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের সঙ্গেই জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট হবে। এর পরে সে দেশের নির্বাচন কমিশনও ভিন্ন ব্যালটে একই সঙ্গে দু’টি ভোট করার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু ভোট ঘোষণার আগে কেন সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সিইসি? নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘‘একটি ‘ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি’ (নির্বাচনী তদন্ত কমিটি) ওঁরা ডিপ্লয় (নিয়োগ) করবেন। আমাদের তফসিল ঘোষণার পরেই যাতে এই কাজটি যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে ওঁকে (প্রধান বিচারপতি) অনুরোধ জানিয়েছি।’’
সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারির গোড়াতেই ভোট হতে পারে বাংলাদেশে। প্রসঙ্গত, গত ৫ অগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের বর্ষপূর্তিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছিলেন, আগামী বছর রমজান শুরুর আগেই ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জাতীয় সংসদের নির্বাচন করতে চান। তিনি বলেন, ‘‘২০২৬ সালের পবিত্র রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠাব।’’ তার পরেই দিনই ইউনূস চিঠি পাঠালে ভোটার তালিকা সংশোধন ও আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু করে কমিশন। সে কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। গত ৫ অগস্ট ইউনূস ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ও পাঠ করেছিলেন। ২৮ দফার ওই ঘোষণাপত্র হল ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের একটি দলিল, যার মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। মুজিবুর রহমান এবং হাসিনার আমলে ‘আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারের’ পাশাপাশি ওই সনদে সমালোচনা করা হয়েছে দুই সেনাশাসক, জিয়াউর রহমান (বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা) এবং হুসেন মহম্মদ এরশাদের (জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা) জমানারও। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাবও রয়েছে ওই সনদে। তা নিয়েই হবে গণভোট।