দেশে বানানো একাধিক ক্ষমতাসম্পন্ন এফটিসি২০০০জি যুদ্ধবিমানের প্রথম উড়ান সফল। এমনটাই জানিয়েছে সরকার নিয়ন্ত্রিত চিনা সংবাদসংস্থা চায়না ডেলি। দেখে নেওয়া যাক কতটা উন্নত চিনে বানানো এই যুদ্ধবিমান।
চিন সরকারের নিজস্ব সংস্থা অ্যাভিয়েসন ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন অব চায়না বানিয়েছে একাধিক ক্ষমতাসম্পন্ন এই যুদ্ধবিমানটি। শনিবার গুইঝু প্রদেশে ১৬ মিনিটের জন্য ছিল প্রথম পরীক্ষামূলক উড়ান। কম খরচে তৈরি এই বিমানটি প্রয়োজনে অন্যান্য দেশে রফতানি করার পরিকল্পনাও আছে চিনের।
বিমানটি অনেক কম খরচে পুরোপুরি চিনে বানানো হয়েছে। তবে ইঞ্জিন বানানোর জন্য রাশিয়ার থেকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কিনেছে বেজিং। কারণ, ইঞ্জিন পুরোপুরি বানানোর মতো প্রযুক্তি এখনও চিনের কাছে নেই।
এফটিসি২০০০জি যুদ্ধবিমানটিতে আছে অত্যাধুনিক রাডার ও অগ্নিপ্রতিরোধী ব্যবস্থা। আকাশ থেকে মাটিতে নিখুঁত লক্ষ্যে আঘাত হানতে এই যুদ্ধবিমানটি বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন বলে জানিয়েছে চিন সরকার।
বিমানটির সর্বোচ্চ গতি ১.২ মাক অর্থাৎ প্রায় ১৪৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। এক টানা আকাশে উড়তে পারে ২৪০০ কিলোমিটার। আর ভূমি থেকে সর্বোচ্চ ১৫ কিলোমিটার উচ্চতায় ওড়ার ক্ষমতাসম্পন্ন এই এফটিসি২০০০জি যুদ্ধবিমান।
টানা তিন ঘন্টা আকাশে উড়তে পারে দু’টি আসনসম্পন্ন এই যুদ্ধবিমান। বহণ করতে পারে সর্বোচ্চ তিন টন ওজনের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিস্ফোরক।
নতুন বিমানটির মহড়া সফল হওয়ায় পুরনো মডেলের জে সেভেন ও মিগ ২১-এর ওপর নির্ভরতা কমাতে পারবে চিন। ফলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবেই এক দাপ এগিয়ে যাবে চিন।
যে কোনও আবহাওয়ায় উড়তে পারে এই যুদ্ধবিমান। রাতের অন্ধাকারেও কাজ হাসিল করতে পারবে এই যুদ্ধবিমান। এমনটাই জানিয়েছেন চিনা ইঞ্জিনিয়াররা।
পৃথিবীতে একই মানের যুদ্ধবিমান হল দক্ষিণ কোরিয়ার এফএ৫০ এবং ইতালির এম৩৪৬। যদিও কম খরচে বানানোর জন্য রফতানির ক্ষেত্রে এফটিসি২০০০জি এগিয়ে থাকবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।