বেজিংয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের। ছবি: ফেসবুক।
মার্চ মাসে বেজিং সফরে গিয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে বৈঠকে প্রকল্পের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার এ বার সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপ করল। সে দেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ সোমবার জানিয়েছে, চিনের সহায়তায় তিস্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্রিয়তা শুরু হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিস্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বেজিঙের কাছে প্রায় ৫৫ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে ঢাকা। সে বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিতও মিলেছে। সোমবার সকালে বাংলাদেশের বিদেশসচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গে আলোচনায় ঢাকায় চিনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সরেজমিনে তিস্তা প্রকল্প যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশে আসছে চিনের একটি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল। প্রসঙ্গত, গত বছর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পরে তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে মতভেদের একটা মীমাংসা করারও বার্তা দিয়েছিলেন ইউনূস।
গত মার্চে চিন সফরে গিয়ে সে দেশের জলসম্পদ মন্ত্রী লি গোয়েইংয়ের সঙ্গে পৃথক সাক্ষাতে বাংলাদেশের নদী ও জল ব্যবস্থাপনায় ৫০ বছরের একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রচনা করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন ইউনূস। তাঁর প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, সেই আলোচনায় তিস্তা প্রকল্পের প্রসঙ্গও উঠেছিল। চিনা মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ও চিনের নদী-সমস্যা খানিকটা একই রকমের। নিম্ন অববাহিকায় জলাভাবে নদীতে চড়া পড়ে যাচ্ছে। ইউনূস তাঁকে জানান, বাংলাদেশের দক্ষিণাংশে বহু নদী রয়েছে। নদী বাংলাদেশের জীবন। কিন্তু কখনও কখনও নদী মানুষের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নদী শাসন ও জল ব্যবস্থাপনায় চিন সাফল্যের তারিফ করে জিনপিং সরকারের আর্থিক ও পরিকাঠামোগত সাহায্য চেয়েছিলেন ইউনূস। যা এ বার সফল হতে চলেছে।