শি জিনপিং। ছবি: রয়টার্স।
দুর্নীতি দমনের নামে কি এক এক করে ‘পথের কাঁটা’ উপড়ে ফেলছেন শি জিনপিং? কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত একদলীয় চিনের প্রেসিডেন্ট শুক্রবার একসঙ্গে চিনা সেনার (পিপল্স রিপাবলিকান আর্মি বা পিএলএ) ন’জন শীর্ষস্থানীয় কর্তাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে এই জল্পনা দানা বেঁধেছে নতুন করে। বরখাস্ত সেনাকর্তাদের প্রায় সকলেই ‘তিন-তারকা জেনারেল’ (লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার) এবং চিনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন বলে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি।
চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাং জ়িয়াওগাং শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘ন’জন সেনাকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও দায়িত্ব পালনে গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে।’’ বরখাস্ত সেনাকর্তাদের বিরুদ্ধে সামরিক আইন মেনে পদক্ষেপের কথাও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। বরখাস্ত সেনাকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট জিনপিঙের নেতৃত্বাধীন সামরিক সিদ্ধান্তগ্রহণ সংক্রান্ত সর্বোচ্চ কমিটি ‘সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনে’র ভাইস চেয়ারম্যান হে ওয়েডং। যিনি গত চার মাস যাবৎ গুরুত্বপূর্ণ নানা সামরিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এর আগে চলতি বছরের জুলাই মাসে চিনা নৌসেনার সিনিয়র অ্যাডমিরাল জেনারেল তথা চিনা কমিউনিস্ট পার্টি সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের (সিএমসি) রাজনৈতিক শাখার ডিরেক্টর মিয়াও হুয়া, নৌবাহিনীর ‘চিফ অফ স্টাফ’ ভাইস অ্যাডমিরাল লি হানজ়ুন এবং এবং পিএলএর ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার শীর্ষকর্তা লিউ শিপংকে বরখাস্ত করেছিলেন জিনপিং। সরকারি বিবৃতিতে ‘দুর্নীতির অভিযোগ’ তোলা হলেও কয়েকটি বিদেশি পর্যবেক্ষক সংস্থা এবং সংবাদমাধ্যম অভিযোগ তোলে, সংবিধান সংশোধন করে জিনপিঙের আজীবন শীর্ষপদে থাকার সিদ্ধান্তে আপত্তি তুলেছিলেন তাঁরা। ২০১২ সালে ক্ষমতা পাওয়ার পর থেকে অবশ্য একের পর এক সেনাকর্তাকে দুর্নীতির অভিযোগে সরিয়েছেন জিনপিং। লালফৌজে বিদ্রোহের শঙ্কাতেই বার বার তাঁর এমন পদক্ষেপ বলে অভিযোগ।