Coronavirus in world

রাজপ্রাসাদ থেকে বেরিয়ে করোনার লড়াইয়ে সামিল, হাসপাতালে কাজ করছেন রাজকুমারী

অনলাইনে তিন দিনের একটি কোর্স করার পর স্টকহলমের সোফিয়াহেমেট হাসপাতালে কাজে যোগ দিয়েছেন বছর পঁয়ত্রিশের সোফিয়া। করোনাভাইসারে অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিতেই তাঁর এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

স্টকহলম শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২০ ১৪:৫২
Share:

রাজকুমারী সোফিয়া। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

গোটা বিশ্বের সঙ্গে সুইডেনও লড়ছে করোনার বিরুদ্ধে। আর সেই লড়াইয়ে রাজপ্রসাদ থেকে বেরিয়ে এসেছেন তিনিও, চিকিৎসাকর্মীদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন সুইডেনের রাজকুমারী সোফিয়া। স্টকহলমের এক হাসপাতালে সহকারী হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছেন।

Advertisement

অনলাইনে তিন দিনের একটি কোর্স করার পর স্টকহলমের সোফিয়াহেমেট হাসপাতালে কাজে যোগ দিয়েছেন বছর পঁয়ত্রিশের সোফিয়া। করোনাভাইসারে অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিতেই তাঁর এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন।

রাজকুমারী সোফিয়া সরাসরি ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় অংশ নেবেন না। বরং হাসপাতালে চিকিৎসায় সহযোগী নানান কাজ করবেন। চিকিৎসা ছাড়াও হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জীবাণুমুক্ত করার কাজ, যন্ত্রপাতি পরিষ্কার, রান্নাঘরে সহযোগিতার মতো কাজ করবেন সোফিয়া।

Advertisement

আরও পড়ুন: সানি লিওনি কী দিয়ে মাস্ক বানিয়েছেন জানেন?

হাসপাতালটি সপ্তাহে ৮০ জনকে এমন অনলাইনে প্রশিক্ষণ দিতে পারে,যাঁদের চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কোনও পূর্বঅভিজ্ঞতা নেই, অথচ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে চান, প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। তেমনই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন সোফিয়াও।

আরও পড়ুন: লকডাউন শিকেয়, ষাঁড়ের শেষযাত্রায় কয়েকশো মানুষের জমায়েত!​

হাসপাতালগুলিও চাইছে আরও বেশি করে মানুষ তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন। কারণ করোনার প্রকোপ শুরু হতেই হাসপাতালগুলিতে চাপ বেড়েই চলেছে। ফলে যাঁরা সরাসরি চিকিৎসার কাজে যুক্ত তাঁদের অন্য কাজগুলি করার ক্ষেত্রে চাপ কমাতেই এই পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন: মৃত ভেবে মহিলার সৎকারের প্রস্তুতি, বডিব্যাগের মধ্যে নড়ে উঠল দেহ

সোফিয়া, বছর চল্লিশের রাজকুমার কার্ল-ফিলিপ-কে বিয়ে করেছেন। কার্ল ফিলিপ সুইডেনের সিংহাসনের চতুর্থ দাবিদার। রাজপ্রাসাদ ছেড়ে সোফিয়ার এই কাজে যোগ দেওয়া নেটাগরিকদের প্রশংসা পাচ্ছে। তাঁর প্রথম দিনের কাজের কিছু ছবিও সোশ্যাল মডিয়ায় পোস্ট হয়েছে। সেখানে তাঁকে হাসপাতালের ইউনিফর্ম পরে সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে।

দেখুন সেই পোস্ট:

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন