International Photogallery

লকডাউন তুলে নেওয়ায় কোন দেশে কত বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা, জানেন কি?

লকডাউন শিথিল করা হলে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। যদিও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করতে লকডাউনের ঢাল সরিয়ে ইতিমধ্যেই বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে আমেরিকা ও ইউরোপের একাধিক দেশ। সেইসঙ্গে একাধিক স্বাস্থ্যবিধিও জারি করা হয়েছে। ১৭ মে পর্যন্ত তৃতীয় দফার লকডাউন ভারতেও।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২০ ১৭:৫৩
Share:
০১ ২৬

লকডাউন শিথিল করা হলে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। যদিও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করতে লকডাউনের ঢাল সরিয়ে ইতিমধ্যেই বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে আমেরিকা ও ইউরোপের একাধিক দেশ। সেইসঙ্গে একাধিক স্বাস্থ্যবিধিও জারি করা হয়েছে। ১৭ মে পর্যন্ত তৃতীয় দফার লকডাউন ভারতেও।

০২ ২৬

তার পরও যে লকডাউন উঠছে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নানা ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছিল আগেই। চতুর্থ দফার লকডাউনেও সেই ছাড়ের তালিকা আরও বাড়বে বলেই ইঙ্গিত। লকডাউন শুরু হওয়ার আগে কোন দেশে করোনা সংক্রমণ কোথায় দাঁড়িয়েছিল, বর্তমানে তা কোথায় রয়েছে, দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।

Advertisement
০৩ ২৬

গত বছর নভেম্বরে চিনের হুবেই প্রদেশে প্রথম হানা দেয় করোনাভাইরাস। ভরকেন্দ্র ছিল উহান।

০৪ ২৬

সংক্রমণের হার আর মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে দেখে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামে চিন সরকার।

০৫ ২৬

২৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় লকডাউন। প্রায় আড়াই মাস পর ওঠে লকডাউন। তত দিনে অবশ্য করোনা সংক্রমণে অনেকটাই লাগাম পরিয়ে ফেলেছে চিন। কিন্তু লকডাউন ওঠার পর ফের সংক্রমণ চিন্তায় রেখেছে প্রশাসনকে।

০৬ ২৬

চিন থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ে আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। আমেরিকায় তীব্র গতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ।

০৭ ২৬

১৬ মার্চ লকডাউন শুরু হয় আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্যে। কিন্তু লকডাউন তোলার জন্য শুরু হয় বিক্ষোভও।

০৮ ২৬

বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন শিথিল হলেও সংক্রমণ বাড়ছে আমেরিকায়। সেইসঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুও। আমেরিকায় এখন করোনায় আক্রান্ত ১৩ লক্ষের বেশি। মৃতের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এক লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হবে আমেরিকায়। তবে লকডাউন তুলে নিতে মরিয়া ট্রাম্প। সে সিদ্ধান্ত যে হিতে বিপরীত হচ্ছে, আক্রান্তের সংখ্যার বৃদ্ধি থেকেই তা বোঝা যায়।

০৯ ২৬

ইউরোপে করোনার অন্যতম ভরকেন্দ্র হয়ে ওঠে ইটালি। সেখানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে সংক্রমণ। হাসপাতাল ভরে যায় করোনা আক্রান্তে।

১০ ২৬

সংক্রমণের হার দেখে ৯ মার্চ লকডাউন ঘোষণা করে ইটালির সরকার। পরে সংক্রমণে কিছুটা লাগাম পরায়, ৪ মে থেকে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা করা হয়।

১১ ২৬

করোনার হানায় এখনও পর্যন্ত ইটালিতে ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইউরোপের এই দেশেও কিন্তু লকডাউন তোলার পর সংক্রমণ বেড়েছে।

১২ ২৬

করোনা হানা দেয় স্পেনেও। বেগতিক দেখে লকডাউনের পথে হাঁটে স্পেন সরকারও।

১৩ ২৬

২৮ এপ্রিল থেকে দেশে ধাপে ধাপে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা করেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। লকডাউন তোলার পরেও কিন্তু স্পেনে সে ভাবে বাড়েনি আক্রান্তের সংখ্যা।

১৪ ২৬

স্পেনে মোট করোনা আক্রান্ত ২ লক্ষের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজারের বেশি মানুষের।

১৫ ২৬

করোনার গ্রাস থেকে বাঁচতে লকডাউনের পথে হাঁটে ব্রিটেনও। অন্যান্য অনেক দেশ লকডাউন তুললেও, সে সময়ে এ নিয়ে পদক্ষেপ করেনি বরিস জনসনের দেশ।

১৬ ২৬

৮ মে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা করা হয় দেশে।

১৭ ২৬

ব্রিটেনে এখনও পর্যন্ত করোনা দু’লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৩৩ হাজার মানুষের।

১৮ ২৬

করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ১৪ মার্চ লকডাউন শুরু হয় ফ্রান্সে। সে সময় আক্রান্তের সংখ্যা কম ছিল।

১৯ ২৬

টানা লকডাউনের পর, ২৮ এপ্রিল তা শিথিলের ঘোষণা করা হয়।

২০ ২৬

ফ্রান্সে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার মানুষেরও।

২১ ২৬

করোনা সংক্রমণ রুখতে জার্মানিতে লকডাউন শুরু হয় ২০ মার্চ। তার পর থেকে টানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলে লকডাউন।

২২ ২৬

এর মধ্যেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করা হয়। যদিও লকডাউন শিথিল করা নিয়ে রাজ্যগুলিকেই সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল। এ দেশেও লকডাউন শিথিল হওয়ার পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা মারাত্মক ভাবে বাড়েনি।

২৩ ২৬

এখনও পর্যন্ত জার্মানিতে করোনা আক্রান্ত এক লক্ষ ৭৪ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে সাত হাজার জনের।

২৪ ২৬

গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে ভারতে। প্রথম ও দ্বিতীয় পেরিয়ে এখন তৃতীয় দফায় পড়েছে লকডাউনের মেয়াদ।

২৫ ২৬

যদিও এর মধ্যেই দেশের গ্রিন জোন হিসাবে চিহ্নিত করা এলাকাগুলিকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। লকডাউন যে তৃতীয় দফা পেরিয়ে চতুর্থ দফাতেও গড়াবে তা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

২৬ ২৬

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চিনের ঠিক পরেই। ৭৮ হাজার মানুষ এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের। লকডাউন শিথিল করলে আক্রান্তের সংখ্যায় তার কতটা প্রভাব পড়ে সেটাই দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement