Coronavirus

গোড়ায় ঢিলেমির মাসুল নিউ ইয়র্কে

সব চেয়ে জনবহুল মার্কিন প্রদেশ ক্যালিফর্নিয়া কিন্তু এখনও আক্রান্তের দিক থেকে ২২ হাজারের কাছাকাছি রয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২০ ০৬:০৪
Share:

ছবি এএফপি।

কোভিড-১৯-এ ইউরোপের সব চেয়ে বিধ্বস্ত দুই দেশ, ইটালি অথবা স্পেনের চেয়েও বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন শুধু নিউ ইয়র্ক শহরে। আমেরিকার মোট মৃত্যুর অর্ধেক ঘটেছে এখানেই। প্রশ্ন উঠছে, নিউ ইয়র্কের এত ক্ষতি কী ভাবে হল?

Advertisement

গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো বারবার বলেছেন, দুর্ভাগ্য আর বিদেশি পর্যটকের ভিড়েই এমন দশা এই শহরের। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৮ হাজার পেরোতে চলেছে। শহরে ৮০ লক্ষের উপরে মানুষের বাস। প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১০ হাজার লোক থাকেন। আমেরিকার অন্যতম জনবহুল শহর। তা ছাড়া প্রতি বছর এখানে ৬ কোটিরও বেশি পর্যটক আসেন। জিন-বিশেষজ্ঞদের মতে, গত ফেব্রুয়ারিতেই ইউরোপ থেকে করোনার নিউ ইয়র্ক যাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে। মার্কিন শহরে প্রথম করোনা-আক্রান্তের খোঁজ মেলে ১ মার্চ। পর দিনই আর এক জন। তখনও কুয়োমো বলেছিলেন, অন্য দেশের মতো পরিণতি তাঁর শহরে কখনওই হবে না। ১৬ মার্চ থেকে স্কুল, রেস্তরাঁ, বার বন্ধের কথা ঘোষণা করেন মেয়র বিল ডে ব্লাসিয়ো। তবে গভর্নরের তরফে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ আসে তারও এক সপ্তাহ পরে।

সব চেয়ে জনবহুল মার্কিন প্রদেশ ক্যালিফর্নিয়া কিন্তু এখনও আক্রান্তের দিক থেকে ২২ হাজারের কাছাকাছি রয়েছে। এখানে নিউ ইয়র্কের এক সপ্তাহ আগে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ জারি হয়েছিল। একটা সপ্তাহ পিছিয়ে বড়সড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে নিউ ইয়র্কের— বলছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের মতে, অতিমারি শুরু হলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ছ’দিন দেরি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে যায়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনও পরীক্ষা শুরু করানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু দিন দেরি করায় সমালোচনায় সরব হন ডেমোক্র্যাট কুয়োমো এবং ডে ব্লাসিয়ো। এখনও যথেষ্ট পরীক্ষা করানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে তাই আমেরিকায় করোনার ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে নিউ ইয়র্ক।

Advertisement

আরও পড়ুন: এক বছর বন্ধ দেশ! ভাবছে ব্রিটিশ প্রশাসন

আরও পড়ুন: সব রেকর্ড ভেঙে ১০৭ বছরের মহিলা হারিয়ে দিলেন করোনাভাইরাসকে

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন