IDAHO Murder Case Verdict

আইদাহো বিশ্ববিদ‍্যালয়ের চার পড়ুয়ার খুনের ঘটনায় দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ

আদালত সূত্রে খবর, নৃশংস ভাবে চারটি খুন করার অপরাধে ব্রায়ানকে প্যারোল ছাড়াই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। শুধু তা-ই নয়, চুরির জন্য তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ২ লক্ষ ৭০ হাজার ডলার জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৫ ০২:১৫
Share:

ব্রায়ান কোবার্গার। ছবি: সংগৃহীত।

আইদাহো বিশ্ববিদ‍্যালয়ের চার পড়ুয়া-খুনের ঘটনায় ব্রায়ান কোবার্গারকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিল আদালত। ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর ওই চার পড়ুয়াকে ঘুমের মধ্যেই খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। এর পর মস্কো পুলিশ তদন্ত শুরু করে ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর ব্রায়ানকে গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে ব্রায়ান খুনের কথা স্বীকার করেন। এর পর কেটে যায় প্রায় আড়াই বছর। বুধবার বিচারক স্টিভেন হিপলার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেন।

Advertisement

আদালত সূত্রে খবর, নৃশংস ভাবে চারটি খুন করার অপরাধে ব্রায়ানকে প্যারোল ছাড়াই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। শুধু তা-ই নয়, চুরির জন্য তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ২ লক্ষ ৭০ হাজার ডলার জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত।

যে তিন তলা বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে সেখানে জ়ানা কার্নোডেল, ইথান চ্যাপিন, ম্যাডিসন মগেন এবং কেলি গনকাভ্স ছাড়াও আরও দু’জন ছিলেন। কিন্তু খুন হন ওই চার জন।

Advertisement

পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করেছিল যে, তাঁদের কোনও শত্রু রয়েছে। কিন্তু খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, কারও সঙ্গে কোনও রকম খারাপ সম্পর্ক ছিল না মৃতদের। বহু দিন ধরে তদন্ত চলার পর শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর মস্কো পুলি‌শ ব্রায়ানকে গ্রেফতার করে। ব্রায়ানকে আদালতে হাজির করানো হলে নয়া তথ্য প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, ব্রায়ানের সঙ্গে মৃত পড়ুয়াদের ব্যক্তিগত কোনও সম্পর্ক ছিল না। অন্য একটি বিশ্ববিদ‍্যালয়ে পড়তেন তিনি। স্নাতক স্তরের পড়াশোনাও শেষ করে ফেলেছিলেন। জানান, স্রেফ খুন করার প্রতি তাঁর ঝোঁক ছিল বলেই ওই চার জনকে খুন করেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, পড়ুয়ারা যে বাড়িতে ছিলেন তার নীচের তলার দরজা আটকানো ছিল। বিশেষ কোড ব্যবহার করে ওই দরজা খোলা বা বন্ধ করা যেত। দ্বিতীয় তলায় কাচের স্লাইডিং দরজা ছিল। এই দরজা সহজে খোলা বন্ধ করা যায়। দোতলা এবং তিন তলার ঘরেই ছিলেন ওই চার পড়ুয়া। একটি বড় মাপের ছুরি নিয়ে এক এক করে চার জনকে হত্যা করেন ব্রায়ান। তার পর দোতলা দিয়েই বাইরে বেরিয়ে যান তিনি।

চার জনের সঙ্গে আরও যে দু’জন ছিলেন, তাঁদের মধ্যে এক জন ব্রায়ানকে স্বচক্ষে দেখেন বলে দাবি করেন। তিনি জানান, মাঝরাতে হঠাৎ কেলির গলার স্বর শুনতে পান তিনি। কেলি বলছিলেন, “এই ঘরে কেউ রয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছিলেন, কিছু ক্ষণ পর জ়ানার ঘর থেকে কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে। এক পুরুষ কণ্ঠকে ওই মহিলা বলতে শোনেন, ‘‘আমি তোমাকে সাহায্য করছি।’’ ঘটনার কিছুই বুঝতে না পেরে ঘরের দরজা খোলেন তিনি।

এই সময়ই চোখের সামনে হাতে ছুরি ধরা একটি অবয়ব দেখেন বলে দাবি করেন ওই মহিলা। চোখ-মুখ মুখোশে ঢাকা। শুধু মোটা ভুরুটুকু দেখা যাচ্ছে। খুনি তাঁকে দেখতে পাননি বলে দাবি করেন ওই মহিলা। এর পরই দোতলা দিয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যান খুনি।

ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন করে জানানো হয়। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ধরা পড়ে, একটি সাদা গাড়ি নিয়ে খুন করতে এসেছিলেন ব্রায়ান। তার পর সেই গাড়ির মালিকের খোঁজ নিয়ে ব্রায়ানকে খুঁজে বার করে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement