সুনামিতে জাহাজ উঠে পড়েছে ডাঙায়। মৃত শিশুকে কোলে নিয়ে এক উদ্ধারকারী। ছবি: পিটিআই ও এএফপি
লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সেই সঙ্গে খাবার আর পানীয় জলের হাহাকার। খোলা আকাশের নীচে হাজার হাজার মানুষ। প্রাণের খোঁজে উদ্ধারকারীরা। নামানো হয়েছে সেনা। ইতিমধ্যেই মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৮০০। সংখ্যাটা কয়েক হাজার হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউসুফ কল্লা। ভূমিকম্প আর সুনামির ধাক্কায় কার্যত ধ্বংসস্তূপ ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপ। তার মধ্যেই শুরু হয়েছে লুঠতরাজ।
শুক্রবার ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয় ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে। তার পরই সুনামির সতর্কতা জারি করে উপকূল এলাকা ছেড়ে নিরাপদে সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় ইন্দোনেশিয়া সরকার। কিন্তু তার আগেই উপকূল বরাবর পালু শহরে আছড়ে পড়ে সুনামি। বহু-বাড়িঘর ভেঙে পড়ে। চাপা পড়ে মৃত্যু হয় বহু মানুষের। বিপুল জলরাশিতে ভেসে-ডুবে মারা যান অনেকে।
দ্রুতই শুরু হয় উদ্ধার কাজ। কিন্তু যতই সময় গড়াচ্ছে, বাড়ছে মৃত্যু মিছিল। শনিবারও সরকারি ভাবে ইন্দোনেশিয়ার ডিজাস্টার এজেন্সি জানিয়েছিল, মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩৫০ জনের। আর তার ২৪ ঘণ্টা পরই ওই সংস্থা জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা অন্তত ৮৩২। এতেই উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনের। মৃতের সংখ্যা কয়েক হাজার পর্যন্ত হতে পারে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা।
আরও পডু়ন: সুনামির গ্রাসে যেতে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গও!
আরও পড়ুন: ‘ইমরানের সরকার নতুন মোড়কে পুরনো পাকিস্তান’, রাষ্ট্রপুঞ্জে ‘সন্ত্রাস’-গোলা নয়াদিল্লির
এ দিকে জলোচ্ছ্বাস এবং ভূমিকম্পে ঘরছাড়া পালু শহরের বহু মানুষ। খোলা আকাশের নীচে দিন কাটছে তাঁদের। বছর পঁয়ত্রিশের রিসা কুসুমা সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘‘মিনিটে মিনিটে অ্যাম্বুল্যান্স আসছে আর মৃতদেহ নিয়ে যাচ্ছে। পানীয় জল নেই। খাবারের জন্য চলছে লুঠপাট। বেঁচেও প্রচণ্ড আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।’’ ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করে খাবার-পানীয় জলের আশ্বাস দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো।
(সব গুরুত্বপূর্ণআন্তর্জাতিক খবরজানতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)