মাটির ২২ ফুট নীচ দিয়ে ৬০০ ফুট লম্বা একটা সুড়ঙ্গ। অ্যারিজোনার একটি বন্ধ হয়ে যাওয়া কেএফসি রেস্তরাঁ থেকে শুরু হয়ে তা পৌঁছে গিয়েছে মেক্সিকোর বাসিন্দা এক ব্যক্তির বেডরুমে। কিন্তু কী রয়েছে এই সুড়ঙ্গে? খোঁজ করতে গিয়ে তাজ্জব দুঁদে পুলিশ অফিসারেরাও।
ভূগর্ভস্থ এই সুড়ঙ্গের কথা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি পুলিশ। কিচ্ছুটি জানতেন না স্থানীয়েরা। ২৩ অগস্ট বন্ধ ওই রেস্তরাঁয় এক ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয় অ্যারিজোনার বর্ডার সিটি পুলিশের। প্রচুর প্ল্যাস্টিক ব্যাগ একটি গাড়িতে ভরছিলেন তিনি।
পুলিশের সঙ্গে থাকা নার্কোটিকস ডগ আশেপাশে মাদকের গন্ধ পায়। নার্কোটিকস ডগের ভাবভঙ্গি দেখে পুলিশও তদন্ত শুরু করে। ওই গাড়ি থেকে ২৩৯ প্যাকেট বিভিন্ন মাদক বাজেয়াপ্ত হয়। যার মূল্য ১০ লক্ষ ডলার।
যে ব্যক্তি প্যাকেট গাড়িতে ভরছিলেন তাঁর নাম জেসাস ইভান লোপেজ গারসিয়া। চলতি বছরের এপ্রিলে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার ডলারে ওই বন্ধ রেস্তরাঁ কেনেন তিনি।
ইভান লোপেজকে গ্রেফতারের পর রেস্তোরায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। খোঁজ মেলে বিশাল এই সুড়ঙ্গের। কী রয়েছে এই সুড়ঙ্গে?
২২ ফুট গভীর ওই সুড়ঙ্গ ধরে হাঁটতে থাকে পুলিশ। ঘুটঘুটে অন্ধকার সুড়ঙ্গে ৬০০ ফুট যাওয়ার পর অন্য মুখের হদিশ পাওয়া যায়। একটি বেডরুমের বিছানার নীচে মুখ ওই সুড়ঙ্গের।
কিন্তু ততক্ষণে অ্যারিজোনার সীমানা ছাড়িয়ে মেক্সিকোয় পৌঁছে গিয়েছে তাঁরা। আরিজোনা সিটি পুলিশ জানিয়েছে, এই ভূগর্ভস্থ পথ দিয়েই প্রতিবেশী দেশে মাদক পাচার হত। ওই ঘরে কেউ ছিলেন না। পাচার চক্রের অন্যদের খোঁজ করছে পুলিশ।