Brazil twitter

ব্রাজ়িলে তোপের মুখে এক্স, মাস্ক অনড়

ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হোক কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলার অভিযোগ, বহু দেশই নানা সময়ে, বিবিধ প্রেক্ষাপটে এক্স-সহ অন্যান্য সমাজমাধ্যমকে এ ধরনের অ্যাকাউন্ট ব্লক করার নির্দেশ দিয়ে থাকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রিয়ো ডি জেনিরো শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:১৭
Share:

এলন মাস্ক।

ব্রাজ়িলে বিপাকে পড়েছেন ইলন মাস্ক ও তাঁর রাজ্যপাট!

Advertisement

নির্দিষ্ট কিছু এক্স-অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ব্রাজ়িলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেশান্দ্রে দি মোরাইস। মাস্ক, এক্স কিংবা ব্রাজ়িল সরকার, কেউই ওই অ্যাকাউন্টগুলি সম্পর্কে খোলসা করে কিছু জানায়নি। তবে শোনা যাচ্ছে, অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হচ্ছিল। কিন্তু নির্দেশ পালন না করে মোরাইসকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন মাস্ক। বলেছেন, মোরাইসের নির্দেশ ‘অসাংবিধানিক’। জবাবে মোরাইস বলেছেন, ‘‘মাস্ককে আদালতের নির্দেশ মানতে হবে, না হলে প্রতি দিন ১ লক্ষ ব্রাজ়িলিয়ান রিয়াল (১৯,৭৪৯ ডলার) জরিমানা দিতে হবে।’’ স্বাভাবিক ভাবেই, চরমে উঠছে দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব।

ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হোক কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলার অভিযোগ, বহু দেশই নানা সময়ে, বিবিধ প্রেক্ষাপটে এক্স-সহ অন্যান্য সমাজমাধ্যমকে এ ধরনের অ্যাকাউন্ট ব্লক করার নির্দেশ দিয়ে থাকে। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। নির্দেশ পালন করা হয় না, এমন নয়। তাই এই ক্ষেত্রে মাস্কের আপত্তির পিছনের ‘রাজনীতি’ দেখতে পাচ্ছেন অনেকেই। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এর পিছনে ব্রাজ়িলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর প্রতি সমর্থন ও সহানুভূতি এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুই ইনাসিও লুলা ডা সিলভার প্রতি ক্ষোভ কারণ হয়ে থাকতে পারে। প্রথমত, লুলা হামাস-ইজ়রায়েল যুদ্ধে গাজ়া স্ট্রিপে গণহত্যার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তিনি। দ্বিতীয়ত, বাণিজ্যের তুলনায় লুলার মন অ্যামাজ়নের জঙ্গল সংরক্ষণের দিকে। আমেরিকা, ইলন মাস্ক-সহ পশ্চিমি শক্তিরা চায় ব্রাজ়িলে বোলসোনারো ক্ষমতায় ফিরে আসুন। সে ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক দিক থেকে লাভবান হবে তারা। কারণ বোলসোনারোর জমানায় অ্যামাজ়নের জঙ্গল খুলে দেওয়া হয়েছিল বিদেশি শক্তিদের সামনে। দক্ষিণ আমেরিকার বাজার ধরা সহজ হয়ে উঠেছিল তাদের জন্য। কূটনীতিকদের ধারণা, কোথাও রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক, দুয়ের মিলিত দ্বন্দ্বের ছায়াই বিস্তারকরছে ব্রাজ়িলে।

Advertisement

মাস্কের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিচারপতি মোরাইস বলেছেন, ‘‘সমাজমাধ্যমের একটি মঞ্চকে অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘কোর্টের নির্দেশ মানতেই হবে এক্স-কে। সুপ্রিমকোর্ট যে সব অ্যাকাউন্টকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছে, সেগুলি পুনরায় সক্রিয় করতে পারে না তারা।’’ রায় ঘোষণায় বিচারপতি মোরাইস স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘সমাজমাধ্যম আইনকানুনের ঊর্ধ্বে নয়।’’

মাস্ক অবশ্য দমবার পাত্র নন। তাঁর জবাব, ‘‘ব্রাজ়িলে হয়তো আমরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ব, সব রোজগার খোয়াবো, ওখানকার অফিসও হয়তো বন্ধ করে দিতে হবে। কিন্তু আর্থিক লাভের থেকে আদর্শ অনেক বেশি দামি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন