গুরুসচ কউর।
মিল ছিল পাগড়িতে। লাদেনের মাথায় পাগড়ি, অ্যারিজোনার গ্যাস স্টেশনের কর্মী বলবীর সিংহ সোধির মাথাতেও তাই। পাগড়িতে মিল থাকায় লাদেনের সঙ্গী সন্দেহ করে, এক মার্কিন নাগরিক গুলি করে মেরেছিল বলবীরকে। সে ঘটনার পর হাডসনের বুক দিয়ে কত জলই না গড়িয়েছে! যে পাগড়ি পরার অপরাধে বলবীরকে গুলি খেয়ে মরতে হয়েছিল, প্রায় সেকরমই পাগড়ি পরা এক শিখ কন্যাকে এবার দেখা যাবে নিউ ইয়র্কের রক্ষকের ভূমিকায়। নাম গুরুসচ কউর।
নিউ ইয়র্ক পুলিশের অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েশনের পর তাঁকে সহায়ক পুলিশ অফিসার পদে নিয়োগ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের হিসেব অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক পুলিশে ১৬০ জন শিখ রযেছেন, কিন্তু গুরুসচ হলেন প্রথম মহিলা।
শিখ হলেও একটা সময় মাথায় পাগড়ি কিংবা দাড়ি রাখার অনুমতি পেতেন না নিউ ইয়র্কের শিখ পুলিশ কর্মীরা। নানা ক্ষোভ বিক্ষোভের পর ২০১৬ সালে এ নিয়ে নিয়ম শিথিল করা হয়ে ছিল। শিখদের দেড় ইঞ্চি পর্যন্ত দাড়ি এবং মাথায় পুলিশের টুপির নীচে নীল পাগড়ি পরার অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চেনা ছক ভেঙে রূপকথার বিয়ে হ্যারি-মেগানের
আরও পড়ুন: এক হাতের রক্ত দিয়েই ২৪ লক্ষ শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছেন ইনি
পুলিশের পোশাকে, মাথায় পাগড়ি পরে গুরুসচ যে ছবি তুলেছেন, তা এখন ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। নিউ ইয়র্ক পুলিশের আশা, তাঁদের প্রথম শিখ মহিলা পুলিশকর্মী হিসেবে সফল হবেন গুরুসচ। শিখধর্মকে আরও বেশি করে বোঝার সুযোগ পাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গুরসচ কউরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরি।