বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা বিমান। —প্রতীকী চিত্র।
নেপালের কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিপত্তি। বিমান ওঠানামার জন্য ব্যবহ়ৃত সাঙ্কেতিক আলোয় বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, তার জেরে শনিবার বিকেল থেকে বিমান পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে কাঠমান্ডুর বিমানবন্দরে।
ত্রিভুবন বিমানবন্দরের আধিকারিক সূত্রে এএনআই জানাচ্ছে, শনিবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দরে একটি শর্টসার্কিট হয়েছে। তার জেরে বিমান ওঠানামা বিঘ্নিত হয়েছে। বিমানবন্দরের ‘এয়ারফিল্ড লাইটিং সিস্টেম’-এ সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের মুখপাত্র রেঞ্জি শেরপা। এএনআইকে জিনি জানান, এর জেরে অন্তত পাঁচটি বিমানের উড়ান আপাতত ‘হোল্ড’ করা হয়েছে। সব বিমানের (অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক) উড়ান এবং অবতরণের সময় পিছিয়ে গিয়েছে।
আধিকারিক সূত্রে খবর, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ এই বিপত্তি দেখা দেয়। কী কারণে এই শর্ট সার্কিট হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আধিকারিকদের অনুমান, বৃষ্টির জল কোনও ভাবে বিদ্যুতের তারের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে। তার জেরেই এই শর্ট সার্কিট হয়েছে বলে অনুমান করছেন তাঁরা।
এএনআই সূত্রে খবর, ‘ফ্লাই দুবাই’, ‘কাতার এয়ারওয়েজ়’, ‘কোরিয়ান এয়ারওয়েজ়’-সহ বেশ কিছু উড়ান সংস্থার বিমান পরিষেবা প্রভাবিত হয়েছে। ‘কোরিয়ান এয়ারওয়েজ়’-এর কাঠমান্ডুগামী একটি বিমানে জ্বালানি কম থাকায় সেটিকে মাঝআকাশ থেকে যাত্রাপথ পরিবর্তন করে নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হচ্ছে।
২০১০ সাল থেকে একের পর এক বড় বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে নেপালে। গত বছরও কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা হয়েছিল। এটি হল একটি ‘টেবল টপ’ বিমানবন্দর। ‘টেবল টপ’ বিমানবন্দর বলতে বোঝায় যে বিমানবন্দরটি আশপাশের জমি থেকে উচুঁতে অবস্থিত। অর্থাৎ, যেখানে রানওয়ের একটি দিকে কিংবা একাধিক দিকে খাড়া ঢাল রয়েছে। এই ধরনের বিমানবন্দরগুলি সব সময় পাইলটের অভিজ্ঞতার পরীক্ষা নেয়। কারণ, এখানে রানওয়ের শেষে বিমান সরাসরি আকাশে ‘ছিটকে’ যায়।