Nepal Violence

উপপ্রধানমন্ত্রীর পর প্রাক্তন এক প্রধানমন্ত্রীকেও রাস্তায় ফেলে মার নেপালে! মারধর তাঁর স্ত্রী তথা বর্তমান বিদেশমন্ত্রীকেও

সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ৪০ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে একটি ভবনে আগুন জ্বলছে। ধোঁয়া বেরোচ্ছে ওই ভবন থেকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:২৯
Share:

(বাঁ দিকে) নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা এবং তাঁর স্ত্রী, বর্তমান বিদেশমন্ত্রী আরজু রানা (ডান দিকে)। ছবি: এক্স।

অশান্ত নেপালে এ বার উত্তেজিত জনতার হাতে মার খেলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা এবং তাঁর স্ত্রী আরজু রানা দেউবা। আরজু বর্তমানে নেপাল সরকারের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্বেও রয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিয়োয় দু’জনকেই রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যায়। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম

Advertisement

সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ৪০ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে একটি ভবনে আগুন জ্বলছে। ধোঁয়া বেরোচ্ছে ওই ভবন থেকে। ভবনের প্রাঙ্গণে প্রচুর মানুষের ভিড়। সেই ভিড়ের মধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর স্ত্রীকে। দেউবার পোশাকে রক্তের ছোপ দেখা গিয়েছে। তাঁদের ধরাধরি করে নিয়ে যাচ্ছেন কয়েক জন ব্যক্তি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি দাবি করা হচ্ছে, উত্তেজিত জনতার হাতে মার খেয়েছেন দম্পতি।

সমাজমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার থেকেই বিদ্রোহ শুরু করেন নেপালের তরুণেরা। ওই বিক্ষোভে ১৯ জন বিক্ষুব্ধের মৃত্যু হয়। শেষে ছাত্র-যুবদের আন্দোলনের মুখে সোমবার রাতেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় নেপাল সরকার। কিন্তু এর পরেও বিদ্রোহ থামেনি। মঙ্গলবার সকাল থেকে কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের দাবিতে বিদ্রোহ আরও জোরালো হয়। একের পর এক নেতা-মন্ত্রীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করতে থাকেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এই বিদ্রোহের মাঝেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন ওলি। কিন্তু এর পরেও বিক্ষোভ থামেনি।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেলের বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অপর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা সিপিএন নেতা প্রচণ্ডের বাসভবনেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। এ ছাড়া সদ্য ইস্তফা দেওয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুংয়ের বাসভবনেও আগুন ধরানো হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে নেপালি কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট শের বাহাদুর দেউবার বাড়িতে, নেপালি কংগ্রেসের সদর দফতরে। এ ছাড়া ইউএমএল নেতা মহেশ বাসনেত, নেপালি কংগ্রেসের নেতা গগন থাপার বাড়িতেও আগুন ধরানো হয়েছে। নেপালের পার্লামেন্ট ভবন এবং সুপ্রিম কোর্টেও তাণ্ডব চলে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement