Ranil Wickremsinghe Arrested

গ্রেফতার শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিক্রমসিঙ্ঘে! স্ত্রীর সমাবর্তনে যোগ দিতে সরকারি অর্থে ব্রিটেন ভ্রমণের অভিযোগ

২০২২ সালের জুলাই মাসে গণবিক্ষোভের জেরে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তার পরে ওই পদে বসেন বিক্রমসিঙ্ঘে। ২০২৪ সালের ভোটে অবশ্য আর পুনর্নির্বাচিত হতে পারেননি তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৫ ১৬:৩১
Share:

রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। —ফাইল চিত্র।

সরকারি অর্থ অপব্যবহার করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে শ্রীলঙ্কার ফৌজদারি তদন্ত বিভাগ( ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট, সংক্ষপে সিআইডি)।

Advertisement

৭৬ বছরের বিক্রমসিঙ্ঘের স্ত্রী মৈত্রী বিক্রমসিঙ্ঘে পেশায় এক জন অধ্যাপক। অভিযোগ, ২০২৩ সালে স্ত্রীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ব্রিটেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সস্ত্রীক ওই সফরে বিক্রমসিঙ্ঘে সরকারি অর্থ ব্যয় করেছিলেন বলে অভিযোগ।

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জি৭৭ বৈঠকে যোগ দিতে কিউবার হাভানায় গিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিক্রমসিঙ্ঘে। সেখান থেকে ফেরার পথে তিনি লন্ডনে যান। ব্যক্তিগত সফরে স্ত্রীকে নিয়ে যান ব্রিটেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর আগে প্রবীণ ওই রাজনীতিক দাবি করেছিলেন, ব্যক্তিগত সফরের যাবতীয় ব্যয় বহন করেছেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু সিআইডি-র দাবি, তদন্তে দেখা গিয়েছে সরকারি অর্থ ব্যয় করেই ওই সফর করেছিলেন বিক্রমসিঙ্ঘে। এমনকি ব্রিটেন সফরে তাঁর দেহরক্ষীদের বেতনও দেওয়া হয়েছিল সরকারি কোষাগার থেকে।

Advertisement

২০২২ সালের জুলাই মাসে গণবিক্ষোভের জেরে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তার পরে ওই পদে বসেন বিক্রমসিঙ্ঘে। ২০২৪ সালের ভোটে অবশ্য আর পুনর্নির্বাচিত হতে পারেননি তিনি। তবে টালমাটাল সময়ে দ্বীপরাষ্ট্রের বেসামাল অর্থনীতিকে শক্ত হাতে সামাল দেওয়ার কৃতিত্ব অনেকেই বিক্রমসিঙ্ঘেকে দিয়ে থাকেন। ছ’বার শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীও হয়েছেন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি)-র নেতা বিক্রমসিঙ্ঘে।

সিআইডি-র এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন, বিক্রমসিঙ্ঘকে কলম্বো ফোর্ট ম্যাজিস্ট্রেটে হাজির করানো হবে। তবে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সচিবালয়ের তরফে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে কিছু জানানো হয়নি। রয়টার্স-এর প্রশ্নের জবাবেও কোনও উত্তর দেয়নি বিক্রমসিঙ্ঘের সচিবালয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement