ভালবাসা। তার আবার নিয়ম? বেড়াজাল?— এ আবার হয় নাকি! আর বিয়ে? এই সমাজের তৈরি করা নিয়ম তো বলছে, আছে বিয়ে করার রীতি। বিভিন্ন দেশ, জাতি, সম্প্রদায়ের মধ্যে সে রীতি ভিন্ন। নারী-পুরুষে বিয়ে করলে ‘সব ঠিক হ্যায়’। তবে পুরুষে-পুরুষে কিংবা এক জন নারীর সঙ্গে আরও এক জন নারীর বিয়ে হতে গেলেই গোল বাধে। আইনি জটিলতায় জেরবার হতে হয় দু’টি মানুষকে। এ বার হয়তো অন্য পথে হাঁটতে চলেছে ভারত।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার বিরুদ্ধে প্রথম আপত্তি জানায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নাজ ফাউন্ডেশন। ভারতবর্ষে সমকামিতা অপরাধ নয়। একমত হয়ে এই ঐতিহাসিক রায় দিলেন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি। কিন্তু জানেন কি অন্য পথে অনেক আগেই হেঁটে ফেলেছে এই দেশগুলো।
২০০১-এ নেদারল্যান্ডসে সমলিঙ্গ বিবাহ আইনি ভাবে স্বীকৃতি পায়। নেদারল্যান্ডসই বিশ্বের মধ্যে প্রথম দেশ, যেখানে সমলিঙ্গ বিবাহ আইনত সিদ্ধ। এ দেশে এখনও পর্যন্ত ১৫ হাজার সমলিঙ্গের মানুষ বিয়ে সেরেছেন।
১৯৭৫-এ সমলিঙ্গ কার্যকলাপ আইনি স্বীকৃতি পেয়েছিল বেলজিয়ামে। তবে বিয়ে নিয়ে স্বীকৃতি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ২০০৩ পর্যন্ত।
২০০৫-এ কানাডা এবং স্পেনে বিয়ে করে সমকামী সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়ার স্বীকৃতি মেলে।
২০০৬-এর ৩০ নভেম্বর প্রবল আন্দোলনের মুখে পড়ে অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকায় সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধতা অর্জন করে।
২০০৯-এর ১ জানুযারি ছিল দিনটা। নরওয়েতে বসবাসকারী সমকামী মানুষের কাছে সুখবর এসেছিল বছরের প্রথম দিনটিতেই। আর মেক্সিকোতে স্বীকৃতি পেয়েছিল ওই বছরেরই নভেম্বরে।
আর ২০১০-এ আইল্যান্ড, পর্তুগাল এবং আর্জেন্তিনায় সমলিঙ্গ বিবাহ স্বীকৃতি পেয়েছিল।
২০১২-র ১৫ জুন। ডেনমার্ক পার্লামেন্টে সমলিঙ্গ বিবাহ বিল পাশ হয়।
২০১৩-তে ফ্রান্স, ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডে পাশ হয় সমলিঙ্গ বিবাহ বিল।
লুক্সেমবার্গে সমলিঙ্গ বিবাহ স্বীকৃতি পায় ২০১৫-এর ১ জানুয়ারি। একই বছরের ১৬ নভেম্বর আয়ারল্যান্ডে সমলিঙ্গের মানুষের মধ্যে বিয়ে বৈধতা পায়।
২০১৭ সালে সমলিঙ্গ বিবাহ বিল পাশ হয় ফিনল্যান্ডে।