Wokers Eat Pet Dog in China

চিনে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল পোষ্য কুকুর, রান্না করে খেয়ে ফেললেন শ্রমিকেরা!

খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কুকুরটিকে খাওয়ার কথা স্বীকারও করে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থা কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:০০
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল পোষ্য কুকুর। রাস্তায় কুকুরটিকে পেয়ে রান্না করে খেয়ে ফেললেন শ্রমিকেরা! সম্প্রতি চিনের শেনজেন প্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

Advertisement

চিনের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পোষ্য কুকুরটির নাম ই-ই। কুকুরটির মালিক দিনকয়েকের জন্য মলদ্বীপে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। স্থানীয় একটি ক্রেশে রেখে গিয়েছিলেন প্রিয় ই-ইকে। গত ২৯ জানুয়ারি সেখান থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই পোষ্য কুকুর। দেশে ফিরে প্রিয় পোষ্যের খোঁজে ৫০ হাজার ইউয়ান পুরস্কারও ঘোষণা করেছিলেন তার মালিক (ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ছ’লক্ষ টাকা)। কিন্তু খোঁজ মেলেনি ই-ইর।

কুকুরের খোঁজে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেন মালিক। তাতে দেখা যায়, ২৯ জানুয়ারি ক্রেশ থেকে বেরোনোর পর এলাকাতেই ঘোরাঘুরি করছিল ই-ই। হঠাৎ বেপরোয়া গতিতে আসা একটি গাড়ির ধাক্কা খেয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে সে। সেই সময় রাস্তায় নির্মাণের কাজ করছিলেন একদল শ্রমিক। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কিছু ক্ষণ পর আহত কুকুরটিকে নিয়ে রান্নার অস্থায়ী তাঁবুতে ঢুকে যাচ্ছেন শ্রমিকেরা। তার পর থেকেই আর কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি ই-ইর। পরে জানা যায়, কুকুরটিকে রান্না করে খেয়ে ফেলেছেন শ্রমিকেরা!

Advertisement

খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কুকুরটিকে খাওয়ার কথা স্বীকারও করে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থা কর্তৃপক্ষ। তবে সংস্থার রাঁধুনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাঁরা ভেবেছিলেন পথ দুর্ঘটনায় কুকুরটির মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই তাঁরা কুকুরটিকে খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আট জন শ্রমিকের মধ্যে ওই খাবার ভাগও করে দেওয়া হয়। তবে নিয়ম মেনে রান্না শুরুর আগে কুকুরটির ছবি তুলে সিস্টেমে আপলোডও করেছিলেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকে শেনজেনে বিড়াল কিংবা কুকুর খাওয়া নিষিদ্ধ। আইন না-মানলে মোটা অঙ্কের জরিমানাও হতে পারে। সেই আবহেই এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement