নোবেল শান্তির যোগ্যতা নেই আমার: ইমরান

পুলওয়ামার পর থেকে দু’দেশের মধ্যে যখন দ্বন্দ্ব উত্তরোত্তর বাড়ছে, সেই সময়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর সংযত পদক্ষেপ আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯ ০২:২০
Share:

নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে এ বার খোদ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানই মুখ খুললেন। —ফাইল চিত্র।

দাবিটা উঠছিল বেশ কয়েক দিন ধরেই। পাকিস্তানে অন্তত তিন লক্ষ মানুষ আবেদনে সইও করে ফেলেছেন। কিন্তু নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে এ বার খোদ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানই মুখ খুললেন। সোমবার টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য নই।’’ সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন কাশ্মীর প্রসঙ্গও।

Advertisement

ইমরানের বক্তব্য, ‘‘কাশ্মীরের মানুষের ইচ্ছে অনুযায়ী যিনি কাশ্মীর-সমস্যার সমাধান করতে পারবেন এবং উপমহাদেশে শান্তি ও উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করতে পারবেন, তেমন ব্যক্তিই এই পুরস্কারের যোগ্য।’’ এই টুইট আবার হিন্দিতে অনুবাদ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ।

পুলওয়ামার পর থেকে দু’দেশের মধ্যে যখন দ্বন্দ্ব উত্তরোত্তর বাড়ছে, সেই সময়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর সংযত পদক্ষেপ আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। দিন পাঁচেক আগে ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল পাক বায়ুসেনা। সে দিনই পাক সেনার হাতে ভারতীয় মিগের পাইলট অভিনন্দন বর্তমান বন্দি হন। প্রকাশ্যে এই উত্তেজনার আবহেও ওই দিন ভারত সরকারের উদ্দেশে ইমরান বলেছিলেন, ‘‘আমাদের কি এই মুহূর্তে ভাবা উচিত নয় যে, এখান থেকে ব্যাপারটা বাড়তে থাকলে তা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? (নিয়ন্ত্রণ) না আমার হাতে থাকবে, না মোদীর হাতে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: জঙ্গি-সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে আইন পাকিস্তানে

এই সব মন্তব্যের পরে ইমরানের মন্ত্রিসভার সদস্য ফওয়াদ চৌধরি নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে প্রধানমন্ত্রীর নাম সুপারিশ করে প্রস্তাব আনেন। ওই প্রস্তাবে লেখা ছিল, ‘‘ভারতীয় নেতৃত্বের রণং দেহি মনোভাবের জন্য পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল। তা কমাতে পাক প্রধানমন্ত্রী বিচক্ষণ ভূমিকা নিয়েছেন।’’

আরও পড়ুন: বার বার নাম বদলাচ্ছে জঙ্গি সংগঠন, চোখে ঠুলি পরে নিজেই বিপন্ন পাকিস্তান

যদিও ভারতীয় মিগের পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে বন্দি করার জন্য আর এক প্রস্ত চাপের মুখে পড়েন পাক প্রধানমন্ত্রী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে শুরু করে ব্রিটেন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া থেকেও আপত্তি ওঠে। সেই সময়ে আবার অভিনন্দনকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ইমরান ফের হাওয়া টানেন নিজের দিকে। ভারতের যদিও দাবি, সৌহার্দ্য নয়, জেনিভা কনভেনশন মেনেই পাকিস্তান মুক্তি দিতে বাধ্য অভিনন্দনকে।

১ মার্চ অভিনন্দনকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার পরে #নোবেলপিসপ্রাইজ়ফরইমরানখান (ইমরান খানের জন্য শান্তির নোবেল পুরস্কার) পাকিস্তানে টুইটারে ছড়িয়ে পড়ে। গত কাল পর্যন্ত ইমরানের জন্য তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ অনলাইনে সই করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement