বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। —ফাইল চিত্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘বার্তা’য় কর্ণপাত করল না ইজ়রায়েলের আদালত। দুর্নীতি মামলা অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ও বিচারপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ হয়ে গেল শুক্রবার।
ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী তাঁর মক্কেলকে হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আদালতে যে আবেদন জানিয়েছিলেন, কিন্তু জেরুসালেম ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক তা-ও নাকচ করে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে প্রতারণা, ঘুষ, বেআইনি আর্থিক লেনদেন এবং অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে তিনটি মামলা হয়েছিল। মামলাগুলো কেস–১০০০, কেস–২০০০ এবং কেস–৪০০০ নামে পরিচিত। ইজ়রায়েলি ধনকুবের ব্যবসায়ী ও হলিউড প্রযোজক আরনন মিলচ্যানের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং তাঁর স্ত্রী সারা অন্তত তিন লক্ষ ডলারের উপহার পেয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছিল প্রথম মামলায়।
অভিযোগ, মিলচ্যানকে আমেরিকার ভিসা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহার্ঘ শ্যাম্পেন, সিগার উপঢৌকন নিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। এক বার কর-ছুটের সময়সীমা এগিয়ে এনেও মিলচ্যানের সুবিধা করে দিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় মামলায় অভিযোগ, ‘ইয়েদিওত আহারনত’ নামে দৈনিকের সম্পাদক আরনন মোজেসের সঙ্গে গোপন চুক্তি হয় প্রধানমন্ত্রীর। মোজেসের কাছ থেকে তাঁর কাগজে সরকারের ইতিবাচক প্রচারের প্রতিশ্রুতি আদায় করে নেতানিয়াহু ওই কাগজটির প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীকে সাহায্য বন্ধ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেঅস্ট্রেলিয়ার ধনকুবের জেমস প্যাকারের কাছে থেকেও ‘উপহার’ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তৃতীয় মামলায়। অবশ্য অভিযোগ এড়িয়ে নেতানিয়াহুর দাবি, মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ট্রাম্প গত বুধবার নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলাকে ‘প্রতিপক্ষের কালোজাদু’ বলে বর্ণনা করে বলেছিলেন, ‘‘নেতানিয়াহুর মতো মহান নেতার রেহাই পাওয়া উচিত।’’ ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, ইরানের সঙ্গে সঙ্ঘাতের পরিস্থিতিতে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন। তাই জাতীয় নিরাপত্তার কারণে শুনানি স্থগিত রাখা প্রয়োজন। কিন্তু সেই যুক্তি শুনল না জেরুসালেম আদালত।