Bihar Assembly Election 2025

‘বিহারের ভোটে তেজস্বীই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’, কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমারের দাবি ‘ইন্ডিয়া’ ঐক্যবদ্ধ

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়ার দাবি, তেজস্বীকে সামনে রেখে বিহারের বিধানসভা ভোটে লড়বে ‘মহাগঠবন্ধন’।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৫ ১৬:৫২
Share:

(বাঁ দিকে) তেজস্বী যাদব এবং কানহাইয়া কুমার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

বিহারের আসন্ন বিধানসভা ভোটে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের পুত্র তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ হিসেবে সামনে রেখে ‘ইন্ডিয়া’র সহযোগী দলগুলি লড়বে। কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমার শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন।

Advertisement

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়ার নেতৃত্বে গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক ভাবে বিহারে ‘পলায়ন রোকো, নকরি দো’ (প্রস্থান রুখুন, চাকরি দিন) যাত্রা করেছে কংগ্রেস। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তাতে আরজেডি নেতৃত্বের অংশগ্রহণ চোখে পড়েনি। যদিও কানহাইয়া শুক্রবার দাবি করেছেন, বিরোধী জোট মহাগঠবন্ধনের অন্দরে কোনও মতবিরোধ নেই। তিনি বলেন, ‘‘কোনও সন্দেহ নেই, তেজস্বী যাদবই মহাগঠবন্ধনের ‘মুখ্যমন্ত্রিত্বের মুখ’। বিহারে আরজেডি আমাদের চেয়ে বড় দল। তাদের বিধায়কসংখ্যাও বেশি। তাই মুখ্যমন্ত্রিত্ব তাদেরই প্রাপ্য।’’

গত বছর লোকসভা ভোটে আসনরফা নিয়ে বিহারে আরজেডির সঙ্গে কংগ্রেসের সংঘাত প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। বেগুসরাইয়ে কানহাইয়া কুমার, পূর্ণিয়ায় পাপ্পু যাদবকে আসন ছাড়েননি তেজস্বী। এমনকি, ‘কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি’ হিসাবে পরিচিত অওরঙ্গাবাদে দলের প্রাক্তন সাংসদ নিখিল কুমারকেও লালুর দল আসন ছাড়েনি। নিখিলের বাবা বিহারের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্রনারায়ণ সিংহ ওই কেন্দ্রের চার বারের সাংসদ। শেষ পর্যন্ত নির্দল হিসাবে লড়ে পূর্ণিয়ায় বিজেপি সমর্থিত জেডিইউ প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন পাপ্পু। আরজেডি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল।

Advertisement

এ বারের বিধানসভা ভোটেও ‘মহাগঠবন্ধনে’র অন্দরে আসন সমঝোতা নিয়ে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আরজেডি, কংগ্রেস এবং তিন বাম দল— সিপিআইএমএল লিবারেশন, সিপিআই, সিপিএমের পাশাপাশি তেজস্বীদের জোটে রয়েছেন, বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ‘বিকাশশীল ইনসান পার্টি’র (ভিআইপি) নেতা মুকেশ সহানি। সূত্রের খবর, কংগ্রেসকে ৫০টির বেশি আসন ছাড়তে রাজি নন তেজস্বী। আরজেডির যুক্তি, ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৭০টিতে লড়ে মাত্র ১৯টি জিতেছিল মহাগঠবন্ধনের ‘মেজো শরিক’ কংগ্রেস।

কংগ্রেসের এই খারাপ ‘স্ট্রাইক রেটে’র কারণেই এনডিএ-র জয় সহজ হয়েছিল বলে বিরোধী শিবিরের একাংশের অভিযোগ। অন্য দিকে, কংগ্রেসের তরফে পাল্টা যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তিন দশকের বেশি সময় ধরে বিজেপির দখলে রয়েছে, এমন ৩০টির বেশি শহরাঞ্চলীয় আসন তাদের হাতছাড়া হয়েছিল। ওই বিধানসভা ভোটে আরজেডি ১৪৪টিতে লড়ে ৭৫টি এবং তিন বাম দল ২৯টিতে লড়ে ১৬টি জিতেছিল। তার মধ্যে ১৯টি আসনে লড়ে ১২টিতে জয় পায় সিপিআইএমএল (লিবারেশন)। এ বার ইতিমধ্যেই ৩০টি আসনের দাবি তুলেছে তারা। সিপিআই ছ’টি আসনে লড়ে দু’টিতে এবং সিপিএম চারটি আসনে লড়ে দু’টিতে জিতেছিল।

অন্য দিকে, ২০২০ সালের ভোটে আরজেডি ১৪৪টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ৭৫টিতে জয় পায়। গত বারের ভোটে এনডিএর সহযোগী হিসেবে ভিআইপি ১১টি আসনে লড়ে ৪টিতে জয়ী হয়েছিল। এ বার তারা লালু-তেজস্বীর সঙ্গী। ২০২৪ সালের গত বছরের লোকসভা ভোটে বিহারে ২৩টি আসনে লড়ে মাত্র চারটিতে জিতেছিল আরজেডি। অন্য দিকে, ন’টিতে লড়ে তিনটি জেতে কংগ্রেস। পূর্ণিয়ায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী পাপ্পু পরে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোর কথা ঘোষণা করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement