ইজ়রায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজ়া। ছবি: রয়টার্স।
গাজ়ায় নতুন করে আক্রমণের তেজ বাড়িয়েছে ইজ়রায়েল। শনিবার রাতভর হামলায় এখনও পর্যন্ত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি গাজ়ার স্বাস্থ্য কর্তাদের। শুধু ইজ়রায়েলি হামলা নয়, গাজ়ায় খাদ্যসঙ্কট আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। তবে সেই আবহে এ বার বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি করেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার রাতে দক্ষিণ গাজ়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েলি সেনা। সেই এলাকাতেই একসঙ্গে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে খবর। স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, ইজ়রায়েলি হানায় নিহত প্রায় সকলকেই মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে আনা হয়। যদিও শনিবার রাতের হামলা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইজ়রায়েল।
আন্তর্জাতিক মহলে ইজ়রায়েলি হানার তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে। তবে ইজ়রায়েল তাদের দাবিতে অনড়। বার বার ইজ়রায়েল প্রশাসন দাবি করছে, ‘‘গাজ়া দখল হবেই!’’ চলতি সপ্তাহের শুরুতেই গাজ়া শহরের আরও ভিতরে ইজ়রায়েলি সেনার স্থলবাহিনী ঢুকে পড়েছে। গোলাগুলি, বোমাবর্ষণ চলছে। প্যালেস্টাইনিদের অবিলম্বে গাজ়া ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইজ়রায়েল প্রশাসন। তাদের দাবি, ইজ়রায়েলি সেনার লক্ষ্য প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে চিরতরে নির্মূল করা এবং গাজ়ার দখল নেওয়া। সাধারণ গাজ়াবাসী তাদের লক্ষ্যবস্তু নয়। তবে ইজ়রায়েল প্রশাসন যতই দাবি করুক, তাদের সেনাদের হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন গাজ়ার সাধারণ মানুষই। রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে শুরু করে বিশ্বের বহু দেশই এই ইজ়রায়েলি হামলার নিন্দা করেছে।
হামাসের সঙ্গে ইজ়রায়েল যে সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হবে না, তা একপ্রকার স্পষ্ট করে দিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। তাদের দাবি, শর্ত না মানলে হামাসের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি নয়! ইজ়রায়েলি সেনার দাবি, তারা হামাসের সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করতে চায়। সেই কারণেই নতুন করে হামলা শুরু করেছে তারা। চারপাশে শুধু গোলাগুলি, বোমাবর্ষণ চলছে। গাজ়ার একের পর এক পরিকাঠামো, বহুতল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে। নিরাপদ আশ্রয়ে আসায় পরিবার এবং শেষ সম্বলটুকু নিয়ে গাজ়া ছাড়ছেন বহু প্যালেস্টাইনি।
প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় আলোচনা হওয়ার কথা। এখনও পর্যন্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৪৭টি দেশ প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র বলে মেনে নিয়েছে। সোমবার নিউ ইয়র্কের সভায় সেই দলে যোগ দিতে চলেছে কানাডা, ব্রিটেন, অ্যানডোরা, পোল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, সান মারিনো এবং ফ্রান্স।