মিস তুরস্ক ইতির ইসেন। ক্রাউন খুইয়েছেন ইনি। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
আঠারো বছরের তন্বী। সুন্দরী তো বটেই। রূপে-গুণে সবাইকে পিছনে ফেলে দেশের সেরা সুন্দরীর মুকুট উঠেছিল তাঁর মাথায়। কিন্তু গত বছর জুলাইয়ে করা একটি টুইটের জেরে সেই ক্রাউন খোয়ালেন ইতির ইসেন নামে এ বছরের ‘মিস তুরস্ক’।
শুক্রবারই অনুষ্ঠিত হয়েছে মিস তুরস্ক প্রতিযোগিতা। ১৮ বছরের ইতির তাঁর সৌন্দর্য ও বুদ্ধিমত্তার জোরে জিতে নিয়েছেন সেই খেতাব। দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে কয়েকদিন পরই ইতিরের যাওয়ার কথা ছিল চিনে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার।
গত বছর ১৫ জুলাই মধ্যরাতে তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের কথা মনে পড়ছে? ছুটি কাটাতে যাওয়া প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যূত করতে, সেনাপ্রধানকে বন্দি করে একের পর এক শহর দখল করতে শুরু করেছিল সেনাবাহিনীর একাংশ। ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ২৫০ জনের। সেই সময় ইতিরের করা একটি টুইটের জেরেই নাকি তাঁর সৌন্দর্যের শিরোপা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, ৫ কিলোমিটার লম্বা শাড়ি পরে রোড শো কনের!
আরও পড়ুন, পুরুষদের এক-তৃতীয়াংশ বুদ্ধি রয়েছে মহিলাদের, বললেন সৌদি ধর্মগুরু
কী লিখেছিলেন ইতির তাঁর টুইটে?
তুরস্কের সোজু সংবাদপত্র এবং বেশ কয়েকটি অন্য সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইতির টুইট করেছিলেন, ‘‘১৫ জুলাই শহিদ দিবসের সকালেই আমার পিরিয়ড শুরু হয়েছিল। আমার এই স্রাব শহিদ দিবসের রক্ত হিসেবে চিহ্নিত করছি।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং পেশায় মডেল ইতিরের এই টুইটের পরই নাকি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। ‘মিস তুরস্ক’ প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তাদের দাবি, শুক্রবার ইতির সেরা সুন্দরী হওয়ার পরই তাঁদের কানে আসে সেই বিতর্কের কথা। এর পরই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইতিরের ক্রাউন কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইতিরের পরিবর্তে ‘মিস তুরস্ক’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেরা সুন্দরী আসলি সুমেনকে চিনে পাঠানো হচ্ছে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে।
যদিও ইতির দাবি করেছেন, ওই টুইটার হ্যান্ডলটি তাঁর ছিল না। টুইটিও তিনি করেননি। তবে ক্রাউন কেড়ে নেওয়া নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি সুন্দরী।